তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের শাসক দল যারা ভোটের সময় উত্তরপ্রদেশের মানুষকে খৈনিখোর, গুটকাখোর বলতো, তা নিয়ে তো কোনও দিন বিতর্ক তৈরি হয়নি? এই বিপদজনক খেলা খেলতে যাঁরা নেমেছেন, যারা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কু’কথা বলেছেন, যাঁরা বলেছেন ধোকলা খেয়ে বাংলা শেখা যায় না, বাঙালিকে চেনা যায় না। তাঁরা এসব নিয়ে কোনও দিন ক্ষমা চেয়েছেন? আজ যাঁরা জাতিবিদ্বেষ তৈরি করছেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত লক্ষ লক্ষ বাঙালি আজ গুজরাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত। বাংলা থেকে গুজরাতে গিয়ে জীবন জীবিকা খুঁজে পেয়েছেন। এবং তাদের উপার্জনের টাকায় বাংলায় বসবাসকারী তাদের পরিবার প্রতিপালিত হচ্ছে’।
advertisement
আরও পড়ুন:রাতভর মাঠে-মাঠে ঘুরছেন বিডিও, চন্দ্রকোনায় হঠাৎ হল টা কী? চাঞ্চল্য এলাকায়
আরও পড়ুন: গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে তফাৎ কী! 'সঠিক ইতিহাস' পড়াবে সিপিআইএম, শহরের ২৫ জায়গায় চলছে ক্লাস
পরেশ রাওয়ালের মন্তব্যকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক এভাবেই সাফাই দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, গুজরাতের নির্বাচনী প্রচারে বাঙালিদের বিরুদ্ধে 'বেফাঁস' মন্তব্য করেন পরেশ রাওয়াল। অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের মন্তব্য ঘিরে নিন্দার ঝড় সব মহলে। পরেশের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন নেটিজেনরা। যদিও তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন অভিনেতা। অভিযোগ, গুজরাতে একটি নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন পরেশ রাওয়াল। তিনি বলেছেন, গুজরাতের মানুষ মূল্যবৃদ্ধিকে মেনে নিতে পারবে, কিন্তু 'বাংলাদেশি অথবা রোহিঙ্গা' যদি বাড়ির পাশে বসবাস করতে শুরু করে দেয় তা কখনওই মেনে নিতে পারবেন না।
গত মঙ্গলবার গুজরাতের বলসারে বিজেপির হয়ে প্রচার সারতে গিয়েছিলেন পরেশ। সেখানে তিনি বলেন, "গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। এটা ঠিক। কিন্তু সেই দাম কখনও না কখনও কমবে। কিন্তু, কী হবে যখন রোহিঙ্গারা, বাংলাদেশিরা আপনারই বাড়ির চারপাশে থাকতে শুরু করবে। দিল্লিতে যেমন হচ্ছে। তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের মাছ রান্না করে খাওয়াবেন?"
পরেশের এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরেশের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে একের পর এক টুইট, পোস্ট চলতে থাকে। এরপরেই নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে ট্যুইট করেন পরেশ রাওয়াল। ট্যুইটে তিনি লেখেন, "মাছ নিয়ে বিরুদ্ধ মন্তব্য করতে চাইনি। কারণ, গুজরাতিরাও মাছ রান্না করেন এবং খান। আমি আসলে বাঙালি বলতে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা বলতে চেয়েছি। তা সত্ত্বেও যদি আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করে থাকি, তাহলে ক্ষমা চাইছি।"
VENKATESWAR LAHIRI