২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের একতরফা ফলের পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন একের পর এক বিধায়ক৷ যার মধ্যে অন্যতম মুকুল রায়৷ যদিও বর্তমানে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ এ ছাড়াও রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ সহ একের পর এক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বালুর ভীষণ সুগার, ওঁর যদি কিছু হয়ে যায়…,’ হুঁশিয়ারি মমতার! বললেন, ‘এইগুলো হিউম্যান টর্চার’
কয়েক দিন আগে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালও তৃণমূলে যোগ দেন৷ এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন কোতুলপুরের বিধায়কও৷ তিনি বলেন, ‘রাজ্যে মা মাটি মানুষের সরকার যে উন্নয়নের কাজ করছে, তা স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে৷ একশো দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পের টাকা বন্ধ৷ বিজেপি-তে নীতি, আদর্শ কিছু নেই৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে উন্নয়নে সামিল হলাম৷’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৭৷ ভোটের ফল প্রকাশের পরই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। ফলে পদ্ম শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৫৷ এর পর একে একে আরও বেশ কয়েক জন িবধায়ক শাসক দলে নাম লেখানোয় বিধানসভায় আরও শক্তি কমে বিজেপি-র৷ খাতায় কলমে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ থাকলেও আসলে তা কমে হয় ৬৯৷ এবার হরকালি প্রতিহারও তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁঁড়াল ৬৮-তে৷
বিধায়করা দল ছা়ড়লেই তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে পদক্ষেপ দাবি করে সরব হয় বিজেপি৷ কিন্তু এখনও দল বদল করা কোনও বিধায়কই পদ থেকে ইস্তফা দেননি৷ ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপি-র উপরে চাপ বেড়েই চলেছে৷
সহ প্রতিবেদন: দেবব্রত মণ্ডল