গতকাল সরকারের তরফে করা বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ ভবানীপুরে দলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। দলীয় স্তরের সেই সম্মেলনে হাজির থাকবেন ভবানীপুরের বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আলিপুর উত্তীর্ণতে এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা পুর প্রতিনিধি ও বিশিষ্টরা এতে হাজির থাকবেন।
advertisement
আরও পড়ুন- আজ মমতার বিধানসভা কেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনীকে ‘কর্পোরেট সম্মিলনী’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর
বিজয়া সম্মিলনীতে স্বাভাবিকভাবেই বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টিমুখ হবে৷ তবে তার পাশাপাশি বাংলার উন্নয়ন, কেন্দ্রের অবিচার, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় উচ্চমানের জীবনযাপন, কেন্দ্রের আর্থিক বৈষম্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কর্মসংস্থানের সদিচ্ছা দেখিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের ফর্মুলা— এসবও উঠে আসবে সভার বক্তৃতায়। বক্তা হিসেবে কাদের রাখতে হবে সেই নির্দেশিকাও দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে বলা হয়েছে ব্লক নেতৃত্ব তো বটেই, জেলা নেতৃত্ব এমনকী রাজ্যের নেতা- নেত্রীরাও যাবেন বক্তৃতা দিতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সভাগুলি একপ্রকার মহড়ার কাজ করবে।
বহুবছর ধরেই পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনী করে আসছে দল। এবারও তাই হবে। তবে এবার বিজয়া সম্মিলনীর গুরুত্ব আলাদা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা যত বেশি করে সম্ভব মানুষের কাছে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরুন। সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না তা দেখুন। তাঁদের পাশে থাকুন।"