এবারের উপনির্বাচনকে 'দিল্লি যাত্রা'র শুরুয়াৎ হিসেবে দেখছিল তৃণমূল। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেকর্ড জয়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও পথে নেমেছিলেন ভবানীপুর উপনির্বাচনে। অবশেষে সেই দিক থেকে তৃণমূল স্বপ্ন পূরণের পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করছে শাসক শিবির।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিরাট ব্যাবধানে হেরেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। ২৮৭১৯ ভোটে রুদ্রনীলকে হারিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত বিধানসভা ভোটের জয়ের ব্যবধানকেও (২৫,৩০১) ছাপিয়ে গিয়েছিল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়। কিন্তু এবারের উপনির্বাচন সেই জয়কে হেলায় হারিয়ে এগিয়ে চলছে আরও বড় ব্যবধানের দিকে।
advertisement
আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে মমতার লিড, ভবানীপুরে ধরাছোঁয়ার বাইরে মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর ২০১১ সালে ফের ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছিল৷ ৩৪ বছরের বাম শাসনের পর তৃণমূলের রাজ্যে ক্ষমতা দখলের সময় প্রথমে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হলেও এ বারের মতোই ২০২১ সালেও তিনি ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে লড়তে হয়েছিল৷ কারণ তখন তিনি সাংসদ ছিলেন৷ সুব্রত বক্সী ইস্তফা দিলে তারপর ভবানীপুর থেকে লড়ে জিতে আসেন মমতা৷
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সুব্রত বক্সী জিতেছিলেন ৪৯,৯৩৬ ভোটে৷ কিন্তু তার কয়েক মাসের মধ্যেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন হওয়ায় মাত্র ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন ৫৪,২১৩ ভোটে৷ কিন্তু ২০১৬ সালে সেই ভবানীপুরেই মাত্র ২৫ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হন মমতা৷ আর ২০২১-এর ভবানীপুরে বিজেপি-র রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮,৭১৯ ভোটে হারান। অর্থাৎ, ২০১১ সালে ৫৪,২১৩ ভোটে জেতা নিজের রেকর্ডই এবার ভেঙে ফেলার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।