২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে কেন্দ্রের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বাংলার প্রায় ৩০ লক্ষ ক্ষুদ্র শিল্পের মালিক মহিলারা। যা দেশের আর অন্য কোনও রাজ্যে নেই। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নারীশক্তির ক্ষমতায়নে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন, এই তথ্যই তার প্রমাণ, বলে মনে করছে রাজ্যের শাসক দল।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে মহিলা স্বনির্ভর বা নারী ক্ষমতায়নের কথা বারবার উল্লেখ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদি রাজ্য থেকে শুরু করে যোগী রাজ্য বা বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যও এই পরিসংখ্যানে বাংলার ধারে কাছে নেই। ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি ব্যর্থ মহিলাদের চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত করতে। বাংলার শিল্প তথা নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা এই নিয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের জন্য যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নিয়েছেন। নানান প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে স্বনির্ভর করে তুলেছেন বাংলার লক্ষ্মীদের। তার ফলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রেও এসেছে বিরাট পরিবর্তন।
ক্ষুদ্রশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সিনার্জিতে অংশ নিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের স্বনির্ভরতায় যেসব উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা অন্য রাজ্য ভাবতেও পারেনি। তাই আমরা আজ অগ্রগণ্য। কেন্দ্রের পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন হওয়া ক্ষুদ্র শিল্পের সংস্থার সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্র এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টেই স্পষ্ট সারা দেশে ২ কোটি ২০ লক্ষ ক্ষুদ্র শিল্পের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মহিলাদের হাতে। সবার উপরে রয়েছে বাংলার নাম। সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে ষোড়শ অর্থ কমিশনের বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের মহিলারা প্রশংসিত হন তাঁদের উদ্যোগের জন্য।