অষ্টমীর দিন রাজুর বাড়িতে শমীক-সহ পুরনো একঝাঁক বিজেপি নেতার উপস্থিতি নতুন করে উসকে দিয়েছে আদি ও নব্য দ্বন্দ্বের মধ্যে পুরনোদের একত্রিত হওয়ার ছবি। দলে পুরনোদের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের দিকে বার্তা দিয়েছিলেন শমীক। আর সুকান্ত মজুমদারের জমানা বদলের পর রাজুর মতো দলে গুরুত্বহীন করে রাখা আদি নেতার বাড়ির পুজোয় শমীক, রাহুল, লকেটদের একত্রিত হওয়ার ছবি বঙ্গ বিজেপিতে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করা নব্য ও তৎকাল নেতাদের উদ্দেশে বড় বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
আর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, রাজুর বাড়ির পুজোয় হাজির ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সংগঠন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। যিনি বর্তমানে আরএসএসের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী। দিলীপ ঘোষ জমানায় সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিজেপির সংগঠনের প্রধান। দিলীপ ও সুব্রত জুটি ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপিকে বিপুল সাফল্যের মুখ দেখিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিপজ্জনক ‘কর্নার’…! বাড়ির এই ‘ছয়’ কোণগুলিতেই লুকিয়ে থাকে বিষধর, সতর্ক হন এখনই!
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষের জমানায় রাজু ও সায়ন্তন ছিলেন দিলীপের ডান ও বাম হাত। কিন্তু সুকান্ত জমানায় রাজুকে সহ-সভাপতি পদে রাখলেও গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। বৈঠক ও কর্মসূচিতে ডাকা হত না। সায়ন্তনের মতো পরিচিত মুখ নেতাকে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর সাসপেন্ড করা হয় রীতেশকে। শমীক জমানায় এই তিন নেতার গুরুত্ব যে আবার বাড়তে চলেছে তা স্পষ্ট।