রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জেলায় জেলায় বঞ্চিতদের তালিকা তুলে ধরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্তও গৃহীত। খবর বিজেপি সূত্রের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দল তৃণমূল তথা সরকারকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নির্দিষ্ট গাইডলাইন উপেক্ষা করে গরিব মানুষদের বঞ্চিত রেখে তথাকথিত বড় লোকরা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন- এবারের পঞ্চায়েত ভোট 'ডু অর ডাই'-এর লড়াই... বড়জোড়ার সভায় মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর
তৃণমূল নেতা- মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরাই কাটমানির বিনিময়ে ঘর পেয়েছে শুধু নয়, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার অনেক তৃণমূল নেতাও যারা আবাস যোজনার আসল দাবিদার তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়েছেন বলে অভিযোগে বারবারই সরব হচ্ছেন পদ্ম নেতারা। এরই প্রতিবাদে জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচি। রাজ্য স্তরের নেতাদের পাশাপাশি যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এলাকার প্রথম সারির বিজেপি নেতারা। সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ তথ্য-সহ তাঁর হাতে তুলে দিয়ে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর কয়েকদিন পরেই দিল্লি থেকে অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও আগামী দিনে রাজ্যের আরও বেশ কিছু জেলায় সেই দল আবাস অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসবে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ না হলেও কার্যত দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। তাই তার আগে আবাস দুর্নীতি ইসুকে জিইয়ে রাখতে চাইছে বিজেপি। তাই একদিকে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পাশাপাশি এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা যারা বঞ্চিত তাদের স্বার্থে জনস্বার্থ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিল বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই এ ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্টে গ্রাম বাংলার হাজার হাজার বঞ্চিতদের আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।