দলীয় কমিটি গঠন নিয়ে ‘মতপার্থক্যের’ জেরে এদিন ইস্তফা দেন বেচারাম মান্না ৷ কিন্তু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই তাঁকে তৃণমূলভবন থেকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত বদল করেন বেচারাম ৷ ইস্তফাপত্র তিনি ফিরিয়ে নেন বলেই জানা গিয়েছে ৷
advertisement
তৃণমূলের বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন, ‘‘বেচারাম ইস্তফা দিতে চান বলে জানিয়েছেন ৷ বেচারামকে বোঝালেও বিরত করতে পারিনি ৷ ’’
সমস্যার সূত্রপাত সিঙ্গুরের নতুন ব্লক কমিটিতে দলের ব্লক সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে। তাতে দেখা যায় যিনি সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি ছিলেন সেই মহাদেব দাসকে যিনি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ৷ তাঁকে সরিয়ে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে গোবিন্দ ধাড়াকে ৷ যিনি আবার বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠ। এতে ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথবাবু প্রশ্ন করেন, ‘কোন কারণে মহাদেব দাসকে এই পদ থেকে অপসারণ করা হল? সে সততার সঙ্গে কাজ করছিল বলে বাকিদের সমস্যা হচ্ছিল? তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা দলে নেতৃত্ব দেবেন, আর যাঁরা সৎ দলে তাঁদের জায়গা নেই।’ এরপর রবীন্দ্রনাথবাবু দল ছাড়ারও হুমকি দেন। ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গিয়েছে, বেচারামকে ফোন করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।