'দুয়ারে সরকার' (Duare Sarkar) শিবিরের সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই জেলার মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৪২ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৬২ জন। ‘দুয়ারে সরকার’-এর জনপ্রিয়তার বিচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলি। আর এই তালিকায় সব শেষে রয়েছে কলকাতা। শেষ দিনের হিসাবে কলকাতায় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের শিবিরে গিয়েছেন ৮ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৬৩ জন মানুষ। কয়েকদিন আগেই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অভাবনীয় সাফল্যের কথা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ১৬ অগাস্ট থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েছেন ৩ কোটির বেশি মানুষ। সাফল্যের জন্য সমস্ত সরকারি অফিসারকে অভিনন্দন। সরকারি সুবিধা নেওয়ার জন্য বাংলার মানুষকেও ধন্যবাদ, ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দুয়ারে সরকারে' কত মানুষ উপকৃত, সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
অন্যদিকে, এই প্রকল্প নিয়ে হাইকোর্টেও স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার 'দুয়ারে রেশন' (Duare Ration) প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরুর নির্দেশ দিতেই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কিছু রেশন ডিলার। মামলাকারী রেশন ডিলারদের দাবি ছিল, 'রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প কেন্দ্রীয় রেশন বণ্টন আইনের পরিপন্থী। প্রকল্পটি একাধারে খরচ সাপেক্ষ। সেই সঙ্গে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ও কর্মচারী প্রয়োজন, তাও অধিকাংশ রেশন ডিলারদের কাছে নেই।' কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাকারী রেশন ডিলারদের আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
'প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের মূল কারণ, একটি অদৃশ্য ভাইরাস বেঁচে থাকার নতুন পন্থা আবিষ্কার করেছে', এমনটাই পর্যবেক্ষণ আদালতের। একটি অদৃশ্য ভাইরাস মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। বিভিন্ন সংস্থা মানুষের দরজায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। বেসরকারি সংস্থাগুলি এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সরকারি বা আধা সরকারি সংস্থাগুলিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্য সরকার দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করেছে। কোনও আইন অমান্য হচ্ছে বলে আদালত মনে করছে না', রেশন ডিলারদের আবেদন খারিজ করে বলেন বিচারপতি অমৃত সিনহা।