শুক্রবারই প্রথম দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য এবং প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র৷ স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, রাজনৈতিক জীবনে বঞ্চিত হয়েছেন, কোণঠাসা করার চেষ্টা হয়েছে তাঁকে৷ তাই এখন হতাশা বাড়ছে৷ একই সঙ্গে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি অতীন খোলাখুলিই বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর মতো জননেতা দল ছাড়লে তৃণমূলের ক্ষতি হবে৷ একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তিনি৷
advertisement
অতীনের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, কোনও বিষয়ে ক্ষোভ থাকলে তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো উচিত৷ কারণ তিনিই এখন তৃণমূলের সব বিষয়ে সামগ্রিক ভাবে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন৷ একই সঙ্গে ফিরহাদ বলেন, 'আমি এবং অতীন দীর্ঘদিনের বন্ধু৷ আমি মনে করি না অতীন কোনও দলবিরোধী কথা বলেছে বা বলতে পারে৷ প্রায় চল্লিশ বছর ধরে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছি৷ দল কীভাবে চলবে তা নিয়ে এক একজনের ভিন্ন মতামত থাকতেই পারে৷ কিন্তু ক্ষোভ থাকলে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই জানানো উচিত৷'
যদিও ফিরহাদের এই মতের সঙ্গে সহমত হননি অতীন ঘোষ৷ তিনি এ দিন পাল্টা বলেন, 'নিজের ক্ষোভের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে হবে কেন? সবাই আমার পারফরম্যান্স দেখছেন উনিও দেখছেন। যুব কংগ্রেস করার সময় থেকে আমি ওনার সঙ্গে রয়েছি। আমার যন্ত্রণা, ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। আমি আজকের নই। ১৯৮৫ সাল থেকে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর।
আমি মনে করি দলের জাজমেন্ট হওয়া উচিত পারফরম্যান্স, ডেডিকেশন লয়ালটি ও অনেস্টি দিয়ে। এই সবগুলো দিয়ে দল করেছি। আমার এই জায়গায় কোন কমতি নেই। কাজেই আমায় বলতে হবে কেন?'
শুক্রবার নিজের হতাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন নেতাদের নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অতীন ঘোষ৷ তিনি দাবি করেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি কিছু মানুষের উপরে নির্ভর করেন৷ তাঁরা যদি নিজেদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতেন তাহলে দলের আজকে এই অবস্থা হত না৷'
Arnab Hazra