সিবিআই সূত্রে খবর, বোলপুরে লটারির ব্যবসায়ী নামী লটারির এজেন্ট বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করা হয় নিজাম প্যালেসে । সেই লটারিতে এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বাপির দোকান থেকে লটারি ইস্যু হয়েছিল। নিজাম প্যালেসে হাজির হন বাপি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অনুব্রত যে এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছিলেন সেই লটারি ইস্যু হয়েছিল এই বাপির দোকান থেকে। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, কে কিনেছিলেন ওই লটারি? অনুব্রত না অন্য কেউ কিনেছিলেন ? কী ভাবে এক কোটি টাকা পেলেন অনুব্রত?
advertisement
আরও পড়ুন: রেলে চাকরির স্বপ্নের সুযোগ, মাসিক বেতন ৪৫০৯১ টাকা! জানুন
তবে কি লটারি পুরস্কারের পিছনে কি অন্য গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা? সিবিআইয়ের অনুমান, গরু পাচার বা বেআইনি কালো টাকা সাদা করার জন্য এই লটারি ইস্যু করা হয়ে থাকতে পারে। বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের অনুমান, গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে। ফলে কোথায় কী ভাবে ব্যবহার হয়েছে তা যাচাই করতে চাইছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ টাকা বেতনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় নিয়োগ হবে, আজই আবেদন করুন
অপরদিকে, সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর এক ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অতনু মজুমদারকেও তলব করা হয় বুধবার। অতনু দুপুরে হাজির হন। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটারের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বিষয়ে জানতে চায় সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গরু পাচারে স্বাধীন ট্রাস্টের সেক্রেটারি এদিন হাজির হয় নিজাম প্যালেসে। কারণ স্বাধীন ট্রাস্টকেও নোটিশ দেওয়া হয় গরু পাচার মামলায়। অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারের পর এবার লটারি চক্রতে টাকার হাত বদল নিয়ে সন্দীহান গোয়েন্দারা। এদিন কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। গরুপাচারের মামলাতেই এই জিজ্ঞাসাবাদ। সব মিলিয়ে বলা যায় অনুব্রতর শিরে সংক্রান্তি অবস্থা। অনুব্রত জেলে থেকেও একের পর এক ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করার চেষ্টায় সিবিআই ও ইডি।