কর সংস্কারকে কি সম্মানের লড়াই ধরে নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি? তা না হলে সবার পরামর্শ উপেক্ষা করে কেন তড়িঘড়ি জিএসটি চালু করতে গেলেন? ১ লা জুলাই থেকে জিএসটি চালু করতে যুক্তিবুদ্ধির ধার ধারেনি মোদি সরকার। অর্থমন্ত্রকের তরফে আপত্তি ছিল। জিএসটি কাউন্সিলের পরামর্শও শোনা হয়নি। কি হয়েছিল সেই বৈঠকে? গোপন তথ্য তুলে ধরে বিস্ফোরক অমিত মিত্র।
advertisement
জিএসটি পোর্টালের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই না করেই তড়িঘড়ি নতুন কর-ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হয়। রাজ্যর অর্থমন্ত্রী অমিত বলেন, প্রতি মাসে ৩০০ কোটি ইনভয়েস জমা পড়ে কিন্তু প্রযুক্তির অভাবে মাত্র ২ লক্ষের ওপর পরীক্ষা করা হয় ৷
দীর্ঘদিন ধরেই জিএসটি কাউন্সিলের এমপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন অমিত। জিএসটির চূড়ান্ত খসড়া রূপায়ণেও তাঁর ভূমিকা ছিল। কাউন্সিলকে উপেক্ষা করেই জিএসটির হারে পরিবর্তন হচ্ছে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ অমিতের। তিনি বলেন, ‘জেটলির সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছিলাম ৷ জানিয়েছিলাম ছোট-মাঝারি ব্যবসা ডুবে যাবে ৷ আলোচনা করে পরীক্ষা করে জিএসটি চালু হোক ৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সেই দাবি জানিয়েছিলাম ৷ কোনও কথা না শুনেই জিএসটি লাগু হল ৷ যা খুশি তাই করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কালো টাকা উদ্ধার করে এনে দেবেন বলেছিলেন ৷ ১৫ লক্ষা টাকা করে ব্যাঙ্কে দেবে বলেছিলেন ৷ সেই প্রতিশ্রুতির এখন কী হল?’
পয়লা জুলাইয়ের পর থেকে অন্তত ৮ থেকে ১০ বার বিগড়েছে জিএসটি পোর্টাল। বিল জমা নিয়ে প্রতিদিনই জমা পড়ছে গুচ্ছ অভিযোগ। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ইনফোসিসের ওপর দায় চাপাতে চেয়েছিল কেন্দ্র। ইনফোসিস পালটা জানিয়ে দেয়, এতবার পরিবর্তনের জন্যই সিস্টেমে সমস্যা হচ্ছে। মাত্র ৪ মাসের মধ্যে তিনবার জিএসটির হার পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র। রিটার্ন জমার নিয়মও বদলেছে। জিএসটি কাউন্সিলকে উপেক্ষা করেই যে এই নিয়ম বদল, তাও অমিতের কথায় স্পষ্ট।