#কলকাতা: ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বন্দরে জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। তার জেরেই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আছে কলকাতা বন্দরে। খিদিরপুর ও হলদিয়া বন্দরে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিকাঠামো মান উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে খিদিরপুর বন্দরে আসে ১২টি বিদেশি জাহাজ। হলদিয়া বন্দরে আসে প্রায় ১৬টি বিদেশি জাহাজ। বন্দর সূত্রে খবর, প্রতি জাহাজে কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ জন করে ক্রু থাকেন। এই সমস্ত ক্রু'দের পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানার। খিদিরপুর ডক ও হলদিয়াতে থাকছে থার্মাল স্ক্যানার।
advertisement
কলকাতা বন্দর সূত্রে খবর, আপাতত থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রত্যেক ক্রু'কে পরীক্ষা করা হবে। আরও স্ক্যানার নিয়ে আসা হচ্ছে। এই সমস্ত থার্মাল স্ক্যানারগুলি সব ক’টি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায়। যাঁকে পরীক্ষা করা হবে তাঁর শরীরে ছোঁয়াতে হবে না। খানিকটা দুর থেকেই দেহের তাপমাত্রা মাপা সম্ভব। তাই বন্দর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাহাজ জেটি বা ডেকে ভেড়ানোর পরই স্বাস্থ্য কর্মী'রা থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে আগে পরীক্ষা করবেন। যদি কোনও অসুস্থ ব্যক্তি পাওয়া যায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হবে। তার আগে জাহাজ থেকে কাউকে নামতে দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এই বিষয়ে কথা বলে রেখেছে কলকাতা বন্দর। হলদিয়াতে বন্দরের যে নিজস্ব হাসপাতাল আছে তাতে তৈরি করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৩৫০ জনকে খিদিরপুর ও হলদিয়া বন্দরে পরীক্ষা করা হবে। যে সমস্ত কর্মী এই কাজ করবেন তাঁদের জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এসেছে অতিরিক্ত ১০০০ গ্লাভস ও মাস্ক।
এ ছাড়া যাঁর মাল ওঠানো নামানোর কাজ করেন তাঁদের জন্যেও থাকছে গ্লাভস ও মাস্ক। বিদেশ থেকে আসা জাহাজের পাশাপাশি নজরদারি থাকছে ভারতের উপকূল থাকা জাহাজগুলির ওপরও। বিশেষ করে যে সমস্ত জাহাজ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর বা চিনের কোনও বন্দর ঘুরে কলকাতা আসছে। বন্দর সূত্রে খবর, সেই সমস্ত জাহাজের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলে সমস্ত বন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু'সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে এই বিশেষ স্বচ্ছতার কাজ। আর গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় জাহাজ পরিবহন মন্ত্রক নজরদারি করছে দিল্লি থেকে।