পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের সব থানা মিলিয়ে বছরে প্রায় ১৮ কোটি টাকা কলকাতা পুলিশকে দিতে হয় সিইএসসিকে। ফলে এই সোলার প্যানেল পাইলট প্রজেক্ট যদি কার্যকরী ভূমিকা নেয় তাতে আগামীদিনে অন্যান্য থানাগুলিতেও এই রকম সোলার প্যানেল বসানোর ভাবনা চিন্তা করছে কলকাতা পুলিশ। আলিপুর থানা ও আলিপুর থানার যেখানে পুলিশ কর্মীরা থাকেন সেরকম সেখানকার দুটি পুলিশ ব্যারাকের যাবতীয় আলো, ফ্যান, কম্পিউটার চলবে ওই সোলার প্যানেল দ্বারা।এর ফলে বিদ্যুতের বিল যেমন কম আসবে তেমনই এটা পরিবেশবান্ধব।
advertisement
আরও পড়ুন : রাজ্যে ফের ওমিক্রন আক্রান্ত! সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১০, গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা...
থানা ও ব্যারাকে মোট ৯০ টি পাখা, ১২০ টি টিউবলাইট আছে। এই সব কিছু চলে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে। সোলার প্যানেল দ্বারা যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে তাতে কার্বনডাইঅক্সাইডের মাত্রা কমবে ও তাতে সবুজ গাছপালা ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবে। এই প্রথম বার গ্রিন থানা হিসাবে আলিপুর থানাকে চিহ্নিত করা হল। এর জন্য আলাদা করে নেট মিটার বসানো হয়েছে থানাতে। সকাল থেকে শুরু করে যতক্ষণ না পর্যন্ত সূর্যাস্ত হয়, তত ক্ষণ সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে থানায়। থানায় ব্যবহারের পরও উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চলে যাবে সিইএসসি কাছে। সিইএসসি সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে ও সেটা আলিপুর থানার বিদ্যুত খরচের সঙ্গে সিইএসসি অ্যাডজাস্ট করবে।
আরও পড়ুন : বিদেশ থেকে ফিরলেই ২২ দিনের নিভৃতবাস, কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর
সোলার প্যানেলের রক্ষণাবেক্ষণও খুব সহজ। মাঝে মধ্যে দিতে হবে জল। এর জন্য বাড়তি কোনও কিছুর প্রয়োজন নেই। এই সোলার প্যানেলের জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সিএসআর ফান্ড থেকে খরচ করা হয়েছে৷ তারাই এই সোলার প্যানেলের খরচ বহন করে আলিপুর থানাকে সাহায্য করেছে। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদ্যুতের বিলের খরচ। এবার সেই অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিলের খরচ কমানোর জন্যই আলিপুর থানার এই অভিনব উদ্যোগ।