বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপ কুণ্ডু নামে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। কেউ বলছেন কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে পড়ুয়া, কেউ বলছেন মাত্রাতিরিক্ত র্যাগিংয়ের ফলেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে বুধবার রাতে এমন কিছু অস্বাভাবিক যে ঘটেছিল, তা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন সকলে। ঘটনার পরে রাজ্যপালকে নিশানা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। স্বপ্নদীপের মৃত্য়ু থেকেই কি রাজভবনে এই সেলের ভাবনা? প্রশ্ন উঠছে।
advertisement
অন্যদিকে যাদবপুরের ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল যাদবপুর থানার পুলিশ। খুন (৩০২) ও একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্রের মামলা (৩৪) রুজু করেছেন স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডু। তাঁর অভিযোগ, হস্টেলের আবাসিকদের একাংশ তাঁর ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী। উল্লেখ্য, গতকাল রাতেই যাদবপুর থানার পুলিশ এবং লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকরা স্বপ্নদ্বীপের বাড়িতে যান।
স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ময়নাতদন্তে মদ্যপানের কোনও প্রমাণ তাঁর শরীরে মেলেনি। মাথার বাঁ দিকের হাড়ে চিড় ছিল । বাঁ দিকের পাঁজরের হাড়ও ভেঙে যায়। ভেঙে গিয়েছিল কোমর। সেই কারণেই অভ্যন্তরীণ আঘাত গুরুতর হয়ে উঠেছিল বলে প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টে দাবি করা হয়।