এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, এই উপনির্বাচনে জমানত টিকিয়ে রাখা কঠিন, কংগ্রেস সংগঠন দুর্বল এটা আমরা মেনে নিয়েছি। আমরা হারব এটা জেনেই আমরা ভোটে অংশগ্রহণ করেছি। যেখানে যার সংগঠন সেখানে তারা এগিয়েছিল। সিপিআইএম তাই খড়দহ লড়ছিল। এটা আমাদের ভালো লাগছে, বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।
ভোট মিটতেই জোটের বার্তা ছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মুখে। কিন্তু ক্রমেই গোটা দল সুর চড়াতে থাকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মমতা-অভিষেক অবশ্য অবস্থানের ব্যখ্যা দেন। তাদের যুক্তি ছিল বিজেপি বিরোধিতায় ঢিমেতালে চলবে না তারা। অধীর অবশ্য বিষয়টাকে অন্য ভাবে দেখছেন। এদিন বললেন, "ভোটের পরে কংগ্রেস কংগ্রেস দুর্বল হলে খুশি হবে নরেন্দ্র মোদি। এটা সুচারু ভাবে কাজ করছে প্রশান্ত কিশোর। । তৃণমূল দল পরিচালনা করে প্রশান্ত কিশোর আর ভাইপো। " "আজকে পিকে দুয়ারে সরকার স্লোগান তৈরি করেছেন। আগে মোদির ছিল এখন দিদির হয়েছে, মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।"
advertisement
আরও পড়ুন-আগামী মাসেই মেট্রো ছুটবে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত! অপেক্ষা স্রেফ সবুজ সংকেতের
তৃণমূলের এই পদক্ষেপের কারণ বুঝতে নিজস্ব ক্রোনোলজি তৈরি করে ফেলেছেন অধীর। তাঁর কথায়, "২০অগস্ট দিদি দিল্লিতে গিয়ে সনিয়া, রাহুলের সঙ্গে দেখা করলেন। নন্দীগ্রাম ভোটের দিন সব বিরোধী দলকে চিঠি দিলেন। আর ৬ই সেপ্টেম্বরের পর দিদি উল্টে গেলেন!"
আরও পড়ুন-উপনির্বাচনে শূন্য, পুরনির্বাচনে খাতা খোলা যাবে? উত্তর ফেরালেন দিলীপ ঘোষ
বহু রাজ্যেই এখনও শক্ত ঠাঁই কংগ্রেসের। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অধীর বলছেন, "কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপির সঙ্গে লড়াই বাস্তব অর্থে সম্ভব নয়। দিদি বিজেপিকে হারাবে এটা ৬ই সেপ্টেম্বর পর মনে হয়েছে, তৃণমূল নেত্রীর হাতে আদৌ তৃণমূল নেতৃত্ব আছে কিনা জানা নেই।"
অধীর বলছেন, কংগ্রেসকে হঠাৎ করে দিদির খারাপ লাগছে কেন এটা রহস্য বের করতে হবে। কংগ্রেসের সাথে দিদির জোট করে রাজ্যে ক্ষমতা এসেছে। কিন্তু ৬ই সেপ্টেম্বর পর থেকেই কংগ্রেসের খারাপ লাগছে দিদির। কংগ্রেস দলের যুবনেত্রী হয়েছিলেন তখন ভালো লাগত। অধীরের যুক্তি, "ইডির দফতরে যেদিন তার ভাইপোকে তলব করব সেদিন থেকে কংগ্রেসকে খারাপ লাগতে লাগল।"