তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে দিদি ৫০০ দিচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। গোয়াতে বলছেন ৫০০০ টাকা দেব। গোয়া মহিলারা ভাল ইংরেজি বলতে পারে তাই ৫০০০ আর বঙ্গে বিভাজন করে ৫০০ ও ১০০০টাকা। এখন জুয়া চলছে।" শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কাদা ছোড়াছুড়ি প্রসঙ্গে রবিবার অধীর চৌধুরী বলেন, "তৃণমূল দল এখন সার্কাস দল। এখন জোকারদেরকে দেখা যাচ্ছে। কেউ ভোলা ময়রা। যে যার মতো বাতালা দিচ্ছে। দিদি কেন চুপ। দিদি কেন কিছু বলছেন না। দিদির ভাইপোর বিরুদ্ধে বলার মতো ক্ষমতা নেই। ভাইপো হাজার দোষ করলেও কিছু বলেন না।"
advertisement
এরই পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা এখন তৃণমূলের একমাত্র পথ বলে কটাক্ষ করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, "তৃণমূল গোটা দলটাই বিশৃঙ্খলার উপর দাঁড়িয়ে আছে। এখানে হঠাৎ করে শৃঙ্খলা বলে কোনও লাভ হবে না।"
অন্যদিকে ভ্যাকসিন ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদি সরকারকেও তুলোধোনা করতে ছাড়েননি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ভ্যাকসিনের একবছর পূর্তি প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, "এই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল ২০২১ এর ডিসেম্বর মধ্যে সমস্ত দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হবে। আজ কিন্তু সরকার বলতে পারছে না কারণ দেশের সকল উপযুক্ত ব্যক্তিদের ডবল ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হয়নি। বাস্তবে মাত্র ৪৫-৫০ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে। বিভিন্ন দেশে শিশুরা ভ্যাকসিন পেলেও আমাদের দেশে হয়নি। দেশের সরকার যা বলেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক যা দাবি করেছিল তা মেলেনি। ফলে ঢোল বাজানো ছাড়া আর কিছু নেই।"
তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, "এই রাজ্যে এখন দেখছি দরজায় দরজায় ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এতদিন কোথায় ছিলে তোমরা এতদিন কেন দাওনি? ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে বোঝানো চেষ্টা করেছে তৃণমূল দল ভ্যাকসিন দিয়েছে। কিন্তু এই ভ্যাকসিন সারা দেশের মানুষের টাকায় আর কোনও দল দেয়নি তা।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, "যত ভোট আসবে দুযারে ভ্যাকসিন সংখ্যা বাড়বে আর তত ঢোল বাজবে। এখানে মমতা ঢোল আর ওদিকে মোদি ঢোল। কেউ দিচ্ছে না। দেশের মানুষের পকেটের টাকায় এই ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। অনেক আগে কেনা উচিত ছিল। আগে সতর্কতা অবলম্বন করলে এত মানুষের মৃত্যু হত না। ভ্যাকসিন শুরু কত মাস হল! কথা দিয়েছিল এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সব করে দেবে কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।" এমন মন্তব্যেও কেন্দ্র ও রাজ্যকে বিঁধে চরম সমালোচনা করেছেন অধীর চৌধুরী।