অভিষেকের কথায়, “আমি পেনড্রাইভে তথ্য দিয়েছি। ৪১ জনের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিয়েছি কমিশনকে। আমরা যে সব ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ এনেছি সেগুলি জানিয়েছি। প্রশ্ন তোলা হয়েছে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। অথচ উত্তর দিচ্ছে বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। অনুরাগ ঠাকুর তো বাংলা চেনেই না।” অভিষেকের চরম কটাক্ষ, “সিবিআই, ইডি, ইসিকে প্রশ্ন করলে জবাব দিচ্ছে বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা।”
advertisement
আরও পড়ুন: এবার মাসে মাসে ৫,০০০ টাকা…! বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় ঘোষণা মমতার, জানুন বিশদে
অভিষেক একইসঙ্গে বলেন, “BLA নিয়ে আগে আমরা মামলা করেছি। বিএলএ নিয়ে নাম ফোন নম্বার ছবি চেয়েছে। কিন্তু এখন এদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমার দেওয়া তথ্য বিজেপির কাছে গেছে। ফলে BLA নিয়ে দেওয়া তথ্য যে বিজেপির কাছে যাবে না সেটা কি করে নিশ্চিত হব। নির্বাচন কমিশন তো বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। আমরা তাই মামলা করেছি। মুখ্য নির্বাচন কমিশন জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট মোশন আনা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “এই সেশনে হবে না। আগামি সেশনে হবে।”
একইসঙ্গে বাংলার বিরুদ্ধে বঞ্চনা প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, “আজ আমাদের প্রতিনিধিরা যাবে জল শক্তি মন্ত্রক। জলের টাকা অবধি দিচ্ছে না। রাজ্যকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। গাছ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়। জল, রাস্তা, আবাস, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী আগে বলুন বাকি টাকা কবে দেবেন। আমরা তো বৈষম্য মানব না। বিজেপি রিপোর্ট কার্ড আগে প্রকাশ করুক।”
একইসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ‘ভোটচুরি’ অভিযোগ প্রসঙ্গে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে ৭ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিলে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে বলে মন্তব্য করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অভিষেকের তীব্র কটাক্ষ, “কমিশন বলছে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা না দিলে অভিযোগ মিথ্যা ধরা হবে। আজ পাঁচ বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। কিন্তু কিছু জমা দিতে পারছে না। তাহলে তর্কের খাতিরে এবার আমিও বলব মামলা খারিজ করতে।”