আরও পড়ুন– বর্ষার বৃষ্টি রাজ্য জুড়ে, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গও
তিনি আরও বলেন, ‘‘পূর্ণ প্রতিশ্রুতি এবং বিনয়ের সঙ্গে, আমি এই দায়িত্ব গ্রহণ করছি এবং সংসদে তৃণমূলের কণ্ঠস্বর শক্তিশালী এবং অটল রাখার জন্য আমার সকল সহকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করছি। একসঙ্গে, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বেচ্ছাচারকে প্রতিহত করব এবং আমাদের সংবিধানের প্রধান মূল্যবোধ – ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব – রক্ষা করব।আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট: বাংলার জনগণের অধিকার, সম্মান এবং আকাঙ্খা রক্ষা করা। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিটি নিবেদিতপ্রাণ কর্মী এবং সমর্থককে আমার এবং আমাদের উদ্দেশ্যের প্রতি তাদের অবিরাম বিশ্বাসের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমাদের প্রবীণ সাংসদদের কাছে তাঁদের সমর্থন, নির্দেশনা এবং উৎসাহের জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’’
advertisement
আরও পড়ুন– ‘এলাকায় আরও বেশি সময় দিন…’ উত্তরের দুই জেলার জনপ্রতিনিধিদের বার্তা অভিষেকের
দলীয় এই বৈঠকে লোকসভার সাংসদদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যসভার কাজ ভাল হচ্ছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ, সৌগত রায়ও অসুস্থ। এই পরিস্থিতিতে সিনিয়র নেতারা না থাকার কারণে লোকসভায় সাংসদদের পারফরম্যান্স ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন মমতা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন অভিষেক। প্রথম ইউসুফ পাঠানের নাম দেওয়া হলেও, পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের নাম বলেন। এর আগে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিভিন্ন সময় সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন অভিষেক। এবার লোকসভাতেও জাতীয় ক্ষেত্রে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।