রবিবার দিনভর টালবাহানার পর বিকেলে যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, যুবনেত্রী জয়া দত্তদের জামিন মঞ্জুর হয়। সন্ধ্যায় নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করে অভিষেক লেখেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের গ্রেফতার হওয়া কর্মীদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। সত্যমেব জয়তে। আমি তাঁদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় ফিরে যাচ্ছি, এখানে তাঁদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়নি।’ সেই তাঁদের নিয়ে গভীর রাতে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক।
advertisement
রাজনৈতিক মহল বলছে, অভিষেকের এই রাজনীতিতে মমতার ছোঁয়া রয়েছে। দলীয় কর্মীদের জন্য যেভাবে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যেতেন মমতা, সেই পথই অনুসরণ করছেন অভিষেক। বরবারই নিজের রাজনীতির কথা বলতে গিয়ে 'দিদি'র কথা তুলে আনেন অভিষেক। বাস্তবেও তিনি দল পরিচালনার ক্ষেত্রে 'দিদি'র পথ ধরেই হাঁটছেন।
দেবাংশুদের জামিনের পর যে ট্যুইট করেছিলেন অভিষেক, তার শেষ ভাগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘বিপ্লব দেব আপনি সব রকমের চেষ্টা করে দেখতে পারেন কিন্তু আপনার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হবে। আমার কথাগুলি মনে রাখবেন।’ বিপক্ষকে এভাবে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রেও অভিষেকের মধ্যে মমতা-ছাঁয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। নিজেকে ক্রমেই ক্যাপ্টেন করে তুলছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একদিকে দলের কাজ , অন্য রাজ্যে কীভাবে দলকে বিস্তার করবেন, তার রূপরেখা তৈরি করা, আবার অন্যদিকে সর্বভারতীয় স্তরে সলতে পাকানো এই সব কিছু নিতেই ব্যস্ত সিডিউল অভিষেকের। জানা গিয়েছে, সোমবারই ফের দিল্লিতে যাচ্ছেন অভিষেক। মঙ্গলবার যাবেন সংসদে। সেখানেই ত্রিপুরা ইস্যুতে সরব হবেন তিনি।
বাস্তবেই রবিবার এক ক্যাপ্টেনকেই পেলেন তাঁর দলের সতীর্থরা। তাতেই তৃপ্তির আলো দেখা গেলো দেবাংশু, জয়া, সুদীপের চোখে মুখে। জামিনের খবর শুনেই খোয়াই থানা ছেড়ে অভিষেক চলে যান আদালতে। সেখানে দেবাংশু, জয়ারা এসে প্রণাম করে তাঁকে। এ যেন এক অন্য অভিষেকের 'অভিষেক' হল রবিবাসরীয় ত্রিপুরায়। এই অভিষেক 'ক্যাপ্টেন অভিষেক'। নিজের কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের নিয়ে ফেরত যখন এলেন, তখন তৃণমূল ত্রিপুরার কর্মীরাও একইরকম উজ্জীবিত হয়ে উঠল।
