কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আগে ব্লক স্তরে দক্ষিণবঙ্গর একাধিক জেলায় রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে হাওড়া শহর ও গ্রামীণ রয়েছে। হুগলি, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলাও আছে। এছাড়াও আছে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা, বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা।
advertisement
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনসংযোগ করতে পারবেন, এমন স্বচ্ছমুখ আনা হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ব্লক স্তরের সংগঠন। সেই কারণেই এই রদবদল বলে দলীয় সূত্রে খবর।
তবে হাওড়া গ্রামীণের বেশ কিছু ব্লক নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জেলা চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা। তিনি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েও চিঠি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত বিগত এক মাস ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী জেলা ভিত্তিক মিটিং করেন। তারপর এই রদবদল করা হল।
ব্লকে নিজেদের সংগঠন গুছিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় একমাস ধরে বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী। বিধানসভা ভোটে যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, ব্লক শক্তিশালী করা। গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক জেলার সঙ্গে বৈঠকে সেই ব্লক নিয়েই বিশেষ কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৈঠকের নির্যাস –ব্লকের দায়িত্বে থাকা নেতাদের পারফরম্যান্স মেপে নেওয়া। ব্লকের দায়িত্বে থাকা নেতাদের জনসংযোগ করার ক্ষমতা। ব্লকের নেতারা কতটা গ্রহণযোগ্য দলের কর্মীদের কাছেই।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় ব্লক স্তরে বদল শুরু হয়েছে। একাধিক নতুন মুখকে সামনে আনা হয়েছে। ব্লকের দায়িত্বে থাকা নেতাদের প্রচারের অভিমুখ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উৎসবের মরসুম শেষ হলেই ব্লক কেন্দ্রিক নানা কর্মসূচী নিয়ে এগোবে শাসক দল। ব্লকের নেতাদের সেই প্রস্তুতি নিয়েই জনসংযোগ সারতে বলেছে তৃণমূল। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ব্লক স্তরের সংগঠনে বড়সড় রদবদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে বিজেপি অনেকগুলি আসন পেয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গে ধাক্কা খেলেও বিজেপি উত্তরে একাধিক আসন ধরে রাখতে সমর্থ হয়। যদিও উত্তরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও ভোটব্যাঙ্ক বাড়িয়েছে বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের। আবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভাল ফল হলেও, বেশ কয়েকটি জেলায় সাংগঠনিক স্তরে ব্লকের দ্বন্দ্ব সমস্যা তৈরি করতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলা ভিত্তিক বৈঠকে এই বিষয়ে আগাম সতর্কতা করেছে শাসক দল। এবার পুরোপুরি ভোটের ময়দানে ব্লকের শক্তিকে ব্যবহার করতে চায় শাসক দল। সেই সূত্রে জেলাস্তরে একাধিক রদবদলও সেরে ফেলল তৃণমূল।