একই সঙ্গে অভিষেক অবশ্য জানিয়েছেন, রাজ্যপাল তাঁকে কথা দিয়েছেন চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন৷ তৃণমূলের দাবি ন্যায়সঙ্গত এবং যুক্তিপূর্ণ বলেও রাজ্যপাল স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর জন্য রাজ্যপালের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক৷
গত ৫ তারিখ থেকে রাজ ভবনের সামনে ধরনা শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি ছিল, কলকাতায় এসে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে হবে রাজ্যপালকে৷ শেষ পর্যন্ত আজ বিকেলে রাজ ভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ দিনের ধর্নার পরে রাজ্যপালের সঙ্গে ২০ মিনিট কথা, গুচ্ছ চিঠি হাতে রাজভবনে অভিষেক
রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ দিন সৌগত রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ধরনা মঞ্চে বসেই আলোচনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পরেই সৌগত রায় জানিয়ে দেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন আপাতত অভিষেক এই আন্দোলন মুলতুবি রাখুক। আমরাও তাই চাইছি। রাজ্যপাল সময় চেয়েছেন। কাজ না হলে ফের আন্দোলন হবে।’
বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, আমি রাজ্যপালকে বলেছি, দুর্নীতি হলে আগে পুলিশে অভিযোগ জানাননি কেন? দু বছর যখন কেন্দ্রকে সময় দিয়েছি আপনাকেও দু সপ্তাহ সময় দেব৷ দু সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে জানাতে হবে৷ আপনি লিখিত কৈফিয়ত চান, বাংলার মানুষের টাকা কেন কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে?
অভিষেক আরও বলেন, রাজ্যপাল কী উত্তর দিয়েছেন আপনারা জানেন না৷ রাজ্যপাল বলেছেন, ‘দু’ সপ্তাহ নয়, তিনি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবেন৷ উনি ইতিমধ্যেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছেন৷ আমি দু’ সপ্তাহ বলেছিলাম, উনি বলেছেন চব্বিশ ঘণ্টা৷ আমি আমার কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জানিয়েছি৷ আমি যখন শুনলাম উনি আমাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই দিল্লি গিয়েছেন, তৎপর হয়েছেন, তখন আশা করছি উনি একটা বিহিত করবেন৷ কল্যাণদা অনুরোধ করেছেন, প্রবীণ েনতৃত্ব রয়েছে৷ দলনেত্রী সহ সবার সঙ্গে আলোচনা করলাম৷ আমি আরও চব্বিশ ঘণ্টা ধরনায় বসে থাকতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু রাজ্যপাল যেহেতু আমাদের সৌজন্য দেখিয়েছেন, বাংলাও তার সৌজন্য দেখাবে৷ রাজ্যপালকে আমরা দু’ সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম৷ দু’ সপ্তাহ মানে ২৩ তারিখ, ওই দিন নবমী৷ এর পর ভাসান, লক্ষ্মী পুজো রয়েছে৷ আমি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে সময় দিলাম৷ তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছা না দেখলে ১ নভেম্বর থেকে আমাদের আন্দোলন আবার শুরু হবে এবং তা টানা চলবে৷’
News18 Bangla এবার Whatsapp-এ, এক ক্লিকেই খবরের আপডেট জানতে সাবস্ক্রাইব করুন