TRENDING:

তাজপুর সমুদ্র বন্দর ঘিরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি! ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ, দাবি নবান্নের

Last Updated:

বুধবার ইকো পার্কের বিজয়া সম্মিলনীতে আদানি গোষ্ঠীর সিইও করণ আদানির উপস্থিতিতে তাজপুরে পোর্ট তৈরির নিয়ে আগ্রহপত্র বা ইচ্ছাপত্র তুলে দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বুধবার ইকো পার্কের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চেই আদানি গোষ্ঠীর সিইও করণ আদানিকে তাজপুরে পট তৈরির আগ্রহপত্র বা ইচ্ছাপত্র তুলে দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই পোর্ট ঘিরেই এবার রাজ্যে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান আসছে বলে  দাবি করল নবান্ন। নবান্নের দাবি, প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর ঘিরে রাজ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যার মধ্যে ২৫ হাজার প্রত্যক্ষ ও ১ লক্ষের বেশি পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। এই বন্দর প্রকল্প ঘিরে সব মিলিয়ে লগ্নি হবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।
advertisement

ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, নির্মাণ শুরু হওয়ার পর তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বন্দরটি চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাজপুর বন্দর গড়ে ওঠার পর তা রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে এক নয়া মাইলফলক হবে বলে মনে করছে প্রশাসনিক ও বিশেষজ্ঞমহল।

আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড লিমিটেড এই বন্দর নির্মাণে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এছাড়াও রাজ্য সরকার বন্দর কেন্দ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করবে। জাতীয় সড়ক ১১৬বি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই গভীর সমুদ্র বন্দরটি গড়ে উঠবে। এর নাব্যতা হবে ১২.১ মিটার। প্রায় ১৮ কিলোমিটার চ্যানেল এবং জোয়ারের সময়ে নাব্যতা আরও ৩.৯ মিটারের মতো বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মোট নিট নাব্যতা বেড়ে দাঁড়াবে ১৬ মিটার। এর ফলে ১ লক্ষ টন ওজনের ফাঁকা জাহাজ সহজেই বন্দরে নোঙর করতে পারবে বলে সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের নিরিখে এই বন্দর অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।

advertisement

আরও পড়ুন -  স্কুলে ওটা মস্ত বড় কী! গোখরো পাওয়া গেল শিশু বিকাশ কেন্দ্র থেকে

নবান্নের দাবি তাজপুর বন্দর গড়ে উঠলে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি প্রভূত উপকৃত হবে। উত্তরবঙ্গও এই বন্দরের সুবিধা পাবে। এই বন্দরের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে এই সমস্ত রাজ্যগুলি থেকে সহজে ও কম সময়ে পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে। রাজ্য সরকার যে ডানকুনি-রঘুনাথপুর করিডর তৈরি করছে, তার সঙ্গেও তাজপুর বন্দর সংযুক্ত হবে। বন্দরটি চালু হওয়ার পর রাজ্য থেকে রপ্তানি যেমন বাড়বে, তেমনই শিল্প ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিরাট দিক খুলে যাবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

পরিকল্পনা অনুযায়ী, তাজপুরে সমুদ্রের তীরে ১২৫ একর জমিতে বন্দর গড়ে উঠবে। সেখান থেকে চার কিলোমিটার দূরে বন্দর-সংযুক্ত শিল্প গড়ার জন্য আরও ১,০০০ একর জমি নির্মাতা সংস্থাকে রাজ্যের তরফে দেওয়া হবে। প্রস্তাবিত বন্দরটি পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্তিসগড়ের খনি অঞ্চলগুলির খুব কাছে গড়ে উঠবে। তাজপুর বন্দর চালু হলে বিশেষ করে রাজ্যের লৌহ ও ইস্পাত শিল্প ক্ষেত্র অত্যন্ত উপকৃত হবে। তাজপুরে বন্দর নির্মাণের জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
তাজপুর সমুদ্র বন্দর ঘিরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি! ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ, দাবি নবান্নের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল