শেষ লড়াইয়ে ভারত ১৮০ রানে ওভালে পাকিস্তানের কাছে খারাপ ভাবে হেরেছিল ৷ এনকাউন্টার ছিল ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৷
৫০ ওভারে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ চিরকালই বেশ ভালো ৷ তবে ভারতেরও ব্যাটিং লাইন আপ জোরালো এই তকমা আর কার্যকরী নয় ৷ এখন ভারতীয় তরুণ ব্রিগেডে বেশ কিছু বোলার আছেন যাঁরা বিপক্ষের ত্রাস ৷
advertisement
পাকিস্তানের একদিনের দলে চারজন বাঁ হাতি বোলার রয়েছেন ৷ ২০১৮ এশিয়া কাপে বোলার যাঁরা হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলেছেন তাঁরা হলেন উসমান খান, মহম্মদ আমির ৷ অন্যদিকে জুনেদ খানের ভারতের বিরুদ্ধে রেকর্ড বেশ ভালো ৷
ভারতের ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা বাঁ হাতি বোলারদের বিরুদ্ধে সেরকম স্বচ্ছন্দও নন ৷ খোদ অধিনায়ক রোহিত শর্মারও এই বল খেলতে বেশ অসুবিধা আছে ৷
বিরাট কোহলি এই এশিয়া কাপে নেই ৷ তাঁর বাঁ হাতি বোলার সামলাতে তুলনায় বেশ কম অসুবিধা হয় ৷ তাছাড়া বাঁ হাতি বোলারদের নিয়ে খানিকটা স্বচ্ছন্দ কেএল রাহুল, মণীশ পান্ডে, অম্বাতি রায়ডু ৷
আরও পড়ুন - সাপের কামড়, যেগুলি না করলে মৃত্যু নিশ্চিত
এদিকে পাকিস্তানি থিঙ্কট্যাঙ্ক কাজ চালাচ্ছে ‘কুলচা’ ভীতি আটকাতে ৷ দুই রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যজুবেন্দ্র চাহাল এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনারদের মধ্যে পড়ছেন ৷ তাই তাঁদের নিয়ে বেশ পড়াশুনো করছে প্রতিপক্ষ ৷ এক বছরে এই দুই স্পিনারের মিলিত শিকার ৮৭ ব্যাটসম্যান ৷ ৫০ ওভার ফর্মাটে সেরা ৪ উইকেট শিকারীদের মধ্যে রয়েছেন ৷
এদিকে পাকিস্তান এই প্রথম কুলদীপ যাদবকে খেলবে ৷ কুলদীপের কামালে প্রথমবারে প্রতিপক্ষদের পক্ষে বোঝা বেশ শক্ত ৷ তাই পাকিস্তানের কাছে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে তাঁর বোলিং৷ একমাত্র নিউজল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ১ উইকেট পেয়েছিলেন কুলদীপ বাকি কোনও দলের বিরুদ্ধে ৩-৪ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি অভিষেক ম্যাচে ৷ আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি নিয়েছিলেন ৫ উইকেট ৷ অতএব নিঃসন্দেহে সাবধান পাকিস্তান ৷
ফলে বুধবার ব্যাটসম্যানরা যেমন প্লে মেকার হবেন তেমনিই বোলাররা হয়ে উঠতে পারেন গেমচেঞ্জার ৷