কথিত আছে, প্রতি মঙ্গলবারে এই উপোস শুরু করেছিলেন নন্দা সন্ন্যাসীর স্ত্রী সুনন্দা ৷ মঙ্গলবার না খেয়ে হনুমানজির আরাধনা করতেন তিনি ৷ এভাবে বেশ ভালই চলছিল ৷ একদিন হঠাৎই অনেক কাজের মধ্যে মঙ্গলবারের কথা ভুলে গেলেন সুনন্দা ৷ যখন মনে পড়ল তখন দিন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে ৷ অনুশোচনায় যেন মাটিতে মিশে যেতে লাগলেন ঋষি পত্নী ৷ স্থির করলেন, পরের মঙ্গলবার পর্যন্ত উপবাসে থাকবেন তিনি ৷ এই বলে উপবাস শুরু করলেন তিনি ৷ সুনন্দার এই একনিষ্ঠতায় প্রসন্ন হলেন হনুমানজি ৷ তিনি দেখা দিয়ে বরদান করলেন সুনন্দাকে ৷
advertisement
আরও পড়ুন: এই ৫টি হনুমান মন্ত্র পাঠ করুন, জীবন থেকে সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা ঘুচে যাবে
বললেন, সুনন্দার এমন কন্যাসন্তান জন্ম নেবে যার শরীর দিয়ে প্রতিদিন স্বর্ণ অলঙ্কার বেরিয়ে আসবে ৷ সেই কথা মতো এর কয়েক মাস পরেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন সুনন্দা ৷ তার গা থেকে রোজই সোনার গয়না বেরতে শুরু করল ৷
আরও পড়ুন: ঠাকুরঘরে ঠাকুরের মুখ কোনদিকে রাখা উচিত জানেন ?
এদিকে প্রতিদিন সোনার গয়না পেতে পেতে চরম লোভী হয়ে উঠলেন সুনন্দা ৷ লোভ দিন দিন বেড়েই যেতে লাগল ৷ তিনি ঠিক করলেন কোনওদিন মেয়ের বিয়ে দেবেন না ৷ কিন্তু এর মধ্যেই সোমেশ্বর নামে এক ভাল পাত্র পেয়ে কন্যাকে পাত্রস্থ করে দিলেন সন্ন্যাসী নন্দা ৷ এদিকে সোনার লোভে পাগল হয়ে উঠলেন স্বর্ণলতার মা সুনন্দা ৷ জামাইকে হত্যা করেন তিনি ৷ শোকে পাথর হয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে স্বর্ণলতা ঠাকুরঘরে দোর দেন ৷ শেষ পর্যন্ত তাঁর কাতর ডাকে সাড়া দেন মঙ্গলদেব ৷ কথা দেন দু’টি বর দেবেন তিনি ৷ স্বর্ণলতা তখন একটি বরে তাঁর স্বামীর জীবন প্রার্থনা করেন ৷ অন্য একটি বরে মঙ্গলদেব বলেন, যে কেউ মঙ্গলবারে পুজো করলে তাঁর জীবন আনন্দে ভরে উঠবে এবং সমস্ত চাহিদা পূর্ণ হবে ৷