মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধির মৃত্যুর পর সমাধিস্থল নিয়ে তৈরি হয় সমস্যা ৷ মেরিনা বিচে করুণানিধির শেষকৃত্য করা নিয়ে আপত্তি জানায় তামিলনাড়ু সরকার ৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ডিএমকে ৷ সেই মামলাতেই সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও ডিএমকে-এর আর্জিতেই সায় দিয়ে হাইকোর্ট ৷ কিন্তু গতরাতেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সু্প্রিমো ৷
advertisement
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত রাতেই তিনি তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মেরিনা বিচে ডিএমকে সুপ্রিমোর দেহ যাতে সমাধিস্থ করা সম্ভব হয়, সেই চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য পালানিস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ৷ তবে পরে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও আলোচনা করেন মমতা ৷
আরও পড়ুন
মাসিক বেতন ২ লাখ, ৫৫টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, আবেদনের জন্য পড়ুন
তবে এদিন কোর্টের রায়ে সব বিতর্কের অবসান ৷ করুণানিধিই প্রথম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে চেন্নাই-এর এই সমুদ্র সৈকতে সমাধিস্থ করা হবে । মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায়ে ডিএমকে সমর্থকদের মতো খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তিনি বলেন, ‘করুণানিধির মতো কিংবদন্তী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যু তামিল রাজনীতির পক্ষে বড় ক্ষতি ৷ ডিএমকে সুপ্রিমোকে মেরিনা বিচে সমাধিস্থ করার আবেদনে সম্মতি দেওয়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ ৷ তামিলনাড়ু সরকারের আগেই এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল ৷’
আরও পড়ুন
অসম NRC ইস্যু: নামের ভুলে ঠিকানা ডিটেনশন ক্যাম্প, এবার নাগরিকপঞ্জী নিয়েও উদ্বেগে শিলচরের সুচন্দ্রা
করুণানিধির প্রয়াণের পর শোকজ্ঞাপন করতে সবার আগে চেন্নাইয়ে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেরিনা বিচে প্রিয় নেতার শেষকৃত্য বিতর্কের মাঝেই তিনি হয়েই উঠলেন ভরসার জায়গা। তাঁকে ঘিরেই আর্তি কলাইনারের শোকবিহ্বল জনতার। দক্ষিণের রাজ্যে যেন তিনি নয়া আম্মা।