বুধবার বিকেল সাড়ে চারটের পর কেটে গিয়েছে বহু ঘণ্টা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এখনও ঘেরাও বন্দী। টানা ঘেরাও-র মুখে পড়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে উপাচার্যের।
এদিন ছাত্র বিক্ষোভের কড়া সমালোচনা করে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন,‘ঘেরাও করে আটকে রাখা অন্যায় ৷ ঘেরাও তুলে আন্দোলন করুক ছাত্ররা ৷ ছাত্রদের দাবি মেনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছি ৷ রাজ্যপালের সচিব ফোন করেছিলেন ৷ প্রয়োজনে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দেব ৷’
advertisement
আরও পড়ুন
কী ধরনের অন্তর্বাস পরবেন ছাত্রীরা, নির্দেশিকা জারি করে জানাল এই স্কুল
যাদবপুরের উপাচার্যের দাবি, ‘প্রবেশিকা নিয়ে সর্বসম্মত ছিল না ইসি ৷ ৯ জন নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির সমর্থনে ৷ ৬ জন প্রবেশিকার মাধ্যমে ভর্তি চান ৷ তাই নম্বরের ভিত্তিতে ভরতির প্রস্তাব দিই ৷ সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব গৃহীত ইসি-তে ৷’
এদিন যাদবপুরে ভর্তির সূচিও ঘোষণা হয়েছে। ১৯ জুলাই মেধাতালিকা প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ এরপর ২৯ তারিখ বাদ দিয়ে ২৭ থেকে ৩১ পর্যন্ত চলবে ভর্তি ৷ উচ্চ-মাধ্যমিকে নম্বরের ভিত্তিতেই ভর্তি নেওয়া হবে চলতি বছর ৷
এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে ভরতির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও কেন তা বদলানো হল? প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের। উপাচার্যের ব্যাখ্যা, প্রবেশিকা পরীক্ষায় বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ আনার সিদ্ধান্ত হয় ৷ এনিয়ে আপত্তি ছিল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের ৷ ১৫ জন সদস্যের ৯ জন প্রবেশিকা তোলার পক্ষে ছিলেন ৷ বাকিরা ৬ জন প্রবেশিকার পক্ষেই মত দেন ৷ পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত বদল ৬ সদস্যের ৷ শুধুমাত্র এই বছরের জন্য প্রবেশিকা তুলতে সায় দেন ৷ অর্থাৎ সর্বসম্মতিতেই ইসি'র এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি উপাচার্যের। যদিও তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।
এই সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীদের পাশে বেশ কিছু অধ্যাপকও। প্রবেশিকা তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার যাদবপুরে কর্মবিরতির ডাক শিক্ষক সংগঠন জুটার। এতে বেশ কিছু বিভাগের পঠনপাঠন বন্ধ থাকার আশঙ্কা।