ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি জানিয়েছেন তিনি মনে করেন এই আইপিএলে এটাই মাহির পাকাপাকি জায়গা হওয়া উচিত। সাত নম্বরে নেমে তাঁর বিশেষ কিছু দেওয়ার থাকছে না। তাছাড়া যত ওপরে আসবেন, তত বেশি বল খেলার সুযোগ পাবেন। সানি মনে করেন কেকেআর ম্যাচে বড় রান না পেলেও যেভাবে ধোনি একটি বাউন্ডারি এবং একটি
ওভারবাউন্ডারি মেরেছিলেন সেটা আগামী ম্যাচে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। সানি মনে করেন এই মুহূর্তে আধুনিক ক্রিকেটে রবীন্দ্র জাদেজা এবং স্যাম কারান অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান ধোনির তুলনায়।
advertisement
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মাহি। ফলে আইপিএল ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেন না তিনি। এটাও তাঁর ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে তুলে আনার যুক্তি হতে পারে। একবার যদি মহেন্দ্র সিং ধোনি ছন্দ পেয়ে যান তাহলে তাঁর ব্যাট থেকে অনেক বেশি ছক্কা দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আর সব ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা ধোনির ব্যাটে ঝড় দেখতে চান। ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ধোনি। সম্ভবত এটাই তাঁর শেষ আইপিএল। চেষ্টা করবেন বিদায়লগ্নে মনে রাখার মত কিছু করে যেতে।
সানি মনে করেন এবার দল হিসেবে চেন্নাই বেশ ভারসাম্য যুক্ত। ঋতুরাজ, ডু প্লেসি, মঈন আলি, কারান, দীপক চাহারদের মত ক্রিকেটার আছে। দলের প্রত্যেক সদস্য জানেন এ বছর অন্তত তাঁদের অধিনায়কের জন্য ট্রফি জিততে হবে। আগামীদিনে চেন্নাই কত দূর এগোতে পারে সেটাই দেখার। অতীতে বহু অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন মাহি। একা হাতে বদলে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। কিন্তু এখন বয়স হয়েছে। আগের সেই চেনা রিফ্লেক্স নেই। শক্তি কিছুটা কমেছে।
কিন্তু ধোনি জানিয়েছেন আর যাই হোক, ফিটনেস নিয়ে তিনি কাউকে প্রশ্ন তোলার জায়গা দেবেন না। যেভাবে অনেকটা ওপরে উঠে যাওয়া বল তাড়া করে নীতিশ রানার ক্যাচ ধরলেন তার প্রশংসা সকলের মুখে। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের মতই ধূর্ত বুদ্ধি। দরকার শুধু নিজের বড় রান। সেটা আগামীদিনে আসে কিনা উত্তর দেবে সময়।
