ফ্র্যাঞ্জাইজির তরফে অনেকে মনে করেছিলেন, রায়না পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন কাটিয়ে আবার আরব আমিরশাহীতে ফিরবেন! কিন্তু রায়না আর ফেরেননি। তিনি জানিয়ে দেন, ২০২০ আইপিএলে তিনি আর খেলবেন না। এর পর তাঁর সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের বাদানুবাদের খবরও ছড়িয়েছিল। তবে সব কিছু পেরিয়ে শেষমেশ ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছিলেন। অর্থাত্, রায়না আবার চেন্নাইয়ের শিবিরে ফেরেন। আর ফিরেই যে তিনি এমন ধুন্ধুমার বাঁধিয়ে দেবেন কে জানত! যেন এক বছর আইপিএলে খেলতে না পারার শোধ তুলে নিলেন তিনি। এক বছর পর আইপিএলে সিএসকের জার্সিতে ফিরতেই ধুন্ধুমার বাঁধিয়ে দিলেন তিনি।
advertisement
ফাফ ডুপ্লেসি ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড় দ্রুত ফিরতেই সিএসকের উপর চাপ সৃষ্টি হয় এদিন। আবেশ কুমার ও ক্রিস ওকস চেন্নাইয়ের টপ-অর্ডার ভেঙে খানখান করে দেন। এর পরই ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়ে রায়নার উপর। তিনি চাপর মুখে বরাবরই দুরন্ত পারফর্ম করেন। এদিনও তাই করলেন। মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করলেন। তবে মঈন আউট হলেন ৩৬ রান করে। এর পর রায়নার জুড়িদার হলেন অম্বাতি রায়াড়ু। দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করে প্রয়োজনের সময় দলকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। এক বছর পর ফিরেও যেন তিনি একই রকম ফর্মে ছিলেন। গ্যাপ খুঁজে একের পর এক শটে বাউন্ডারি মারলেন। আবার দুর্বল ডেলিভারি সটান পাঠালেন ওভার বাউন্ডারির ঠিকানায়। ৩৬ বলে ৫৪ রান কর দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হলেন রায়না।