#মুম্বই: সকাল দেখে বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু সবসময় এই প্রবাদ বাক্য সঠিক প্রমাণিত হয় না। শনিবার যেমন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংস দলের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। মাত্র ৭ রানের ভেতর ফিরে গেলেন দুই ওপেনার ঋতুরাজ এবং ডু প্লেসি। আবেশ খান এবং ক্রিস ওকস ধাক্কা দিলেন চেন্নাইকে। এরপর মইন আলি কিছুটা কাউন্টার আক্রমণ শুরু করলেন। চারটি বাউন্ডারি এবং দুটি ছক্কা দিয়ে ৩৬ করে গেলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। অশ্বিনের বলে দারুণ ক্যাচ নিলেন শিখর। দিনটা ছিল সুরেশ রায়নার। গতবার টুর্ণামেন্টে না খেলে দেশে ফিরে এসেছিলেন। এবার চেন্নাই দলে রাখতে চায়নি তাঁকে। কিন্তু বাধ্য হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য।
advertisement
রায়না অধিনায়কের ভরসার মর্যাদা দিলেন। চারে নেমে যেভাবে ব্যাট করলেন, দেখে কে বলবে দীর্ঘদিন পর ব্যাট করলেন। বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মারলেন অনায়াসে। জাত ক্রিকেটারদের নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী চলে না প্রমাণ করলেন। দেখে মনে হচ্ছিল অনেক কিছু জবাব দিতে নেমেছেন। অশ্বিন এদিন বল হাতে ফ্লপ। প্রচুর রান দিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল তরুণ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ চাপে পড়ে যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও বোলিং পরিবর্তন করার সময় ভুল করলেন।রায়নাকে যোগ্য সহায়তা করলেন রায়াডু। ২৩ করে কারানের বলে ধরা পড়লেন সেই ধাওয়ানের হাতে।
এলেন জাদেজা। চেন্নাইয়ের বিশ্বস্ত ক্রিকেটাররা এগিয়ে নিয়ে গেলেন হলুদ জার্সিদের। ৫৪ রানের মাথায় জাদেজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হলেন রায়না। উইকেটে এলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। রায়না যে গতিতে রান তুলতে শুরু করেছিলেন, সেই গতি কিছুটা ধাক্কা খেল। আবেশ খানের গুড লেন্থ স্পটের বলে পুল করতে গিয়ে প্লেড অন হলেন মাহি। খাতা না খুলেই ফিরতে হল চেন্নাই অধিনায়ককে। পিচের গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আগেই শট খেলার দাম দিতে হল।
স্যাম কারান ভারতের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিলেন। এদিন এসেই প্রথম বলে বাউন্ডারি মারলেন।প্রশংসা করতে হবে দিল্লির বোলারদের। রাবাডা এবং নোকিয়া ছিলেন না। তরুণ আবেশ খান, ক্রিস ওকস, টম কারানরা কিন্তু ডেথ ওভারে চেন্নাই দলের রান তোলার গতি কমিয়ে দিলেন। তবুও অস্ত্রোপচার করে ফিরে আসা রবীন্দ্র জাদেজা লড়াই চালিয়ে গেলেন।স্যাম কারান শেষ দিকে চালিয়ে খেললেন। মূলত রায়না এবং স্যামের জন্য বড় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেল চেন্নাই।
