কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকার মনে করেন ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। একটা নির্দিষ্ট দিনে কোন দল জিতবে বলা যায় না। কিন্তু মানের বিচারে পিছিয়ে কেকেআর। একই মত প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্রেট লি - র।সত্যি কথা বলতে ভয় পান না কখনও। বিতর্ক হয়েছে অনেক সময়। কিন্তু তবু সত্যি কথাই বলতে ভালোবাসেন সুনীল গাভাসকার। প্লে অফের লড়াই থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দলটাকে পর্যবেক্ষণ করার পর সানি মনে করেন এই ব্যর্থতার একমাত্র কারণ দলে একাধিক অযোগ্য ক্রিকেটার থাকা।
advertisement
কোনও নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের নাম না করেও শাহরুখ খানের দলকে ঠুকলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন শুভমন গিল, ইয়ন মর্গ্যান এবং আন্দ্রে রাসেল ছাড়া এই দলে ব্যাট করার লোকের অভাব। নাইট রাইডার্স দলের চার এবং পাঁচ নম্বরে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মত ক্রিকেটার নেই। তাই কেকেআর সর্মথকরা দুঃখ পেলেও কিছু করার নেই। তিনি আবার মনে করিয়ে দিলেন সুনীল নারিন যখন দলে আছে, তখন কেন তাঁকে দিয়ে ওপেন করানো হচ্ছে না। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের সুবিধা নিতে হলে নারিনকে ওপেন করানো উচিত।
মিডল অর্ডারে নামিয়ে কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া কেকেআর দলের পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট মনে করেন সানি। পরিকল্পনা এবং দক্ষতা দুটোর অভাবেই ভুগতে হচ্ছে শাহরুখ খানের দলকে। নিলামে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য বাকি দলগুলো যখন সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপায়, তখন হরভজন, করুন নায়ার, বেন কটিংদের কেন দলে নেওয়া হয়েছে উত্তর নেই। নিজেদের কোটার ক্রিকেটার খুঁজতে গিয়ে দলের সিইও দলের ক্ষতি করে চলেছেন বছরের পর বছর।
শাহরুখ খানের সময় নেই সারা বছর দল নিয়ে মাথা ঘামান। পাশাপাশি প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যখন একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটারদের নাম না করে অযোগ্য বলছেন, তখন এর থেকে আর লজ্জার কী হতে পারে? এমন নয় যে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের এসব কথা কানে যায় না। কিন্তু তাঁদের না আছে লজ্জা, না দায়বদ্ধতা। ব্যর্থতা যেন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে।
কয়েক মাসের ক্রিকেট বিনোদন ছাড়া তাঁরা এই প্রতিযোগিতাকে বড় করে দেখতে নারাজ। চলছে, চলবে, না হলেও চলবে, এমন মনোভাব যে দলের, তাঁদের ব্যর্থতার কানাগলিতে হাতড়ে বেড়াতে হবে না, তো কাদের হবে? সানি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বিরাটদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করলে কেকেআরকে কমপক্ষে ১৮০ তুলতে হবে। না হলে সুযোগ নেই।