#মুম্বই: বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিল বিরাট কোহলির আরসিবি। এর আগের তিনটি ম্যাচ চেন্নাইয়ের মাঠে খেলেছিল লাল জার্সিধারীরা। তাই মুম্বইতে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয় কিনা দেখার ছিল। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট। অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা রাখলেন মহম্মদ সিরাজ, জেমিসন, ওয়াশিংটন সুন্দররা। সিরাজ বোল্ড করলেন বাটলারকে। ৮ রান করে ফিরে গেলেন বাটলার। এরপর ডেভিড মিলারকে এল বি করলেন সিরাজ দুরন্ত ইয়র্কার বলে। সিরাজ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে লাল বলে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারতীয় ফাস্ট বোলিংকে। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেট অন্য চ্যালেঞ্জ। সিরাজ দেখিয়ে দিলেন টি টোয়েন্টিতেও তিনি দলকে ভরসা দিতে পারেন।
advertisement
মনন ভরা ৭ করে ফিরে গেলেন খারাপ শট খেলে। উইকেট পেলেন জেমিসন। মনে হয়েছিল অধিনায়ক সঞ্জু আজ বড় ইনিংস খেলবেন। শুরুটা খারাপ করেননি। দুটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি মারলেন। পরের বলেই ফিরে গেলেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এই আইপিএল সঞ্জুর কাছে বড় সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে অনবদ্য শতরান করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে একেবারেই ধারাবাহিক নন। দেশের মাটিতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলে দলে জায়গা পেতে গেলে তা নারান করতে হবে কেরলের ব্যাটসম্যানকে। না হলে বাড়িতে বসেই খেলা দেখতে হবে। সঞ্জু যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন, তত ভাল। দলের অধিনায়ক হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব দেখাতে হবে তাঁকে।
৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন চাপে পড়ে গিয়েছে রাজস্থান। এই জায়গা থেকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেন শিবম দুবে। সঙ্গে রিয়ান পরাগ। ২৫ করে ফিরে গেলেন পরাগ। মারলেন চারটি বাউন্ডারি। কিন্তু তখনও উইকেটে ছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া
এবং শিবম। এরা যে এত সহজে লড়াই ছাড়বেন না জানা ছিল। কারণ এরপর ছিলেন ছিলেন ক্রিস মরিস। আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ব্যাট হাতে রান করতে পারেন, প্রমাণ করেছিলেন দিল্লির বিরুদ্ধে।
শিবম ৪৬ করে ফিরে গেলেন রিচার্ডসনের বলে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে। রাজস্থানের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। পাঁচটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি মারলেন। ধুঁকতে থাকা দলকে কিছুটা অক্সিজেন দিলেন।তেওাতিয়া এবং মরিস মিলে লড়াই করে দলের রান নিয়ে গেলেন কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায়। ৪০ করে আউট হলেন তেওাতিয়া। রাজস্থান বোলারদের তবু লড়াই করার জন্য কিছুটা রসদ হাতে রইল।
