#মুম্বই: দিল্লি ধামাকা। প্রতিপক্ষকে রগড়ে দেওয়া যাকে বলে। চতুর্দশ আইপিএলের শুরুটা চেন্নাইকে উড়িয়ে দিয়ে শুরু করল দিল্লি। গুরু বনাম শিষ্য লড়াইয়ে ধোনিকে হারিয়ে দিলেন ঋষভ পন্থ।তাঁর প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কখনই। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাব ছিল বড় সমস্যা। রিকি পন্টিং স্বয়ং জানিয়েছিলেন পৃথ্বী শ যে ধরণের প্রতিভা তাতে তিনি নিশ্চিত খুব তাড়াতাড়ি এই ছেলে ফর্মে ফিরবে। অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যর্থ হওয়ার পর বাদ গিয়েছিলেন। কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন বিজয় হাজারে ট্রফিতে। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে একটি বিজয় হাজারে টুর্ণামেন্টে ৮০০ র বেশি রান করেন। তিনটি শতরান এবং একটি দ্বিশতরান ছিল। ভেঙে দিয়েছিলেন বিরাট এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির ঘরোয়া ক্রিকেটের রেকর্ড।
advertisement
এদিন চেন্নাই সুপার কিংস দলের বিরুদ্ধে বড় রান তাড়া করতে নেমে ধাওয়ানের সঙ্গে দুরন্ত শুরু করলেন মুম্বই অধিনায়ক। কভার ড্রাইভ থেকে শুরু করে লং অনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা, বিভিন্ন শট দেখা গেল তাঁর ব্যাট থেকে। নিজের ছন্দে থাকলে ব্যাটিং কত সহজ জিনিস প্রমাণ করে দিলেন পৃথ্বী। প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন এই আইপিএলে তিনি শাসন করতে চলেছেন। পাশাপাশি প্রশংসা করতে হবে শিখর ধাওয়ানের। গব্বর প্রথমটা একটু ধরে খেললেন। দুজনে মিলে একশোর ওপর পার্টনারশিপ গড়লেন। এখানেই ম্যাচটা হেরে গেল চেন্নাই।
সুরেশ রায়নার ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল আজ চেন্নাই জিতবে। কামব্যাক কিং রায়নার লড়াই ব্যর্থ হল অনবদ্য পৃথ্বী এবং ধাওয়ানের ব্যাটে। রিকি পন্টিং পৃথ্বী শ'কে সাহায্য করছেন সেটা বোঝা গেল তাঁর ইনিংস সাজানো দেখে। বড় শট খেলার পাশাপাশি প্রয়োজনে রান নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। আগের থেকে তিনি অনেক পরিণত হয়েছেন আজকের ইনিংস তাঁরই প্রমাণ। দিল্লির জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করে দিল এই দুজনের পার্টনারশিপ। মাঝে একটা সময় ব্যর্থ হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কিন্তু সচিন তেন্ডুলকারের কাছে। পৃথ্বীকে হাতে ধরে ভুলভ্রান্তি শুধরে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়াটা অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে একুশ বছরের ছেলেটাকে। আরও শক্ত হতে শিখিয়েছে, ধারাবাহিক হতে শিখিয়েছে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভোগা খারাপ জিনিস সেটা শিখিয়েছে। খারাপ সময় মানুষকে জীবনের সেরা শিক্ষা দেয় এদিন পৃথ্বীর ইনিংস দেখে প্রমাণিত। শিখর ধাওয়ান দেখিয়ে দিলেন শ্রেয়াস আইয়ার না থাকলেও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেন তিনি। পৃথ্বী ৩৮ বলে ৭২ রানে আউট হলেন ব্রাভোর বলে মইন আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য নির্ণয় হয়ে গিয়েছে।
শিখর ৮৫ করে এলবি হয়ে ফিরলেন শার্দুল ঠাকুরের বলে। গব্বর জানান দিলেন এই আইপিএলে ঝড় উঠবে তাঁর ব্যাটে। ঋষভ পন্থ এবং স্টোইনিস বাকি কাজটা প্রায় সেরে ফেললেন। কোনও চেন্নাই বোলারকে দেখে মনে হয়নি কিছু করতে পারেন। স্টোইনিস শার্দুল ঠাকুরের বলে মারতে গিয়ে আউট হলেন ১৪ করে। কিন্তু পন্থ বাউন্ডারি মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন।
