১৭ নম্বর ওভারে ফিরিয়ে দিলেন জনি বেয়ারস্টো, মণীশ পান্ডে এবং আব্দুল সামাদকে। এছাড়াও দুর্দান্ত ক্যাচ ধরলেন। ম্যাচ শেষে জানালেন, " অধিনায়ক হিসেবে বিরাট ভাই সব সময় সাহস দেন। আজ অনেক পরে ওই ওভার আমার হাতে তুলে দিলেন। সাধারনত ১৭ নম্বর ওভারে স্পিনাররা বল করে না। কিন্তু আমি মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম। জানতাম বল থমকে আসছে।হাওয়ায় বলের গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলাম। জানতাম সফল হব "।
advertisement
শুধু বোলার নয়, ব্যাটসম্যান হিসেবে ও তাঁর ওপর ভরসা রাখেন বিরাট কোহলি। সে কারণেই তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠাচ্ছেন তাঁকে। কয়েকদিন আগে অনুশীলন ম্যাচে শতরান করেছিলেন শাহবাজ। নিজেকে বোলিং অলরাউন্ডার বলতেই পছন্দ করেন। চাপের মুখে চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি হর্ষল প্যাটেল এদিন পেলেন দুটি উইকেট। হরিয়ানার ক্রিকেটার জানিয়ে গেলেন নিজের ভূমিকা নিয়ে তিনি নিশ্চিত এই দলে। অধিনায়ক থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট সকলেই সমর্থন করেন তাঁকে। গুরুত্বপূর্ণ ডেথ ওভারে বল তুলে দেওয়া হচ্ছে হাতে।
তাছাড়া অনুশীলন ম্যাচে বিরাট, ডিভিলিয়ার্স এবং ম্যাক্সওয়েলদের মত তারকা ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বল করায় তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে মনে করেন প্যাটেল। কিন্তু পাশাপাশি জানিয়ে রাখলেন পরপর দুটি জয় পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হতে নারাজ তাঁরা। আসল লক্ষ্য দলকে চ্যাম্পিয়ন করা। সেটা যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ ব্যক্তিগত গৌরবের দাম খুব একটা নেই। শাহবাজ জানিয়ে রাখেন দলের প্রয়োজনে যে কোনও সময় বল করার চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি তিনি। চাপহীন থেকে নিজের স্বাভাবিক খেলা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরাই আসল লক্ষ্য বাংলার ক্রিকেটারের।লড়াকু ক্রিকেটার বলে বাংলার ড্রেসিংরুমে পরিচিত তিনি। বিরাটের সংসারে এবার ভরসার অপর নাম হয়ে উঠতে চান শাহবাজ।
