৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ এবং ললিত যাদব খেলাটা ধরার চেষ্টা করলেন। এদিন ললিতের ছিল প্রথম ম্যাচ। পন্থকে ভরসা দিলেন। অন্যদিকে দিল্লি অধিনায়ক প্রথম দিকে চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেন। ৩০ বলে ৫০ করলেন। শুধু বড় শট নয়, স্ট্রাইক রোটেট করে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। এদিনও রিয়ান পরাগের সেই অদ্ভুত ভঙ্গিতে বল করা দেখা গেল। রাজস্থান এদিন প্রথম দলে চেতন সাকারিয়া, জয়দেব এবং মুস্তাফিজুর- তিন লেফট আর্ম পেসারকে খেলাল।
advertisement
মন্থর গতিতে বল করে তিনজনেই দিল্লি দলে কাঁপুনি ধরিয়ে দিলেন। ঠিক মনে হচ্ছিল পন্থ যখন বড় রানের দিকে এগিয়ে চলেছেন, তখনই ঘটে গেল বিপত্তি। রান নিতে গিয়ে পরাগের ডিরেক্ট থ্রোয়ে ফিরে যেতে হল দিল্লির অধিনায়ককে। অসমের ক্রিকেটারটি এরপর তাঁর ট্রেডমার্ক বিহু নাচলেন। দলের বাকিরাও যোগ দিলেন সেলিব্রেশনে। অতীতেও রিয়ানকে বিহু নাচতে দেখা গিয়েছিল। তখন সঙ্গী হয়েছিলেন আর্চার। মেজাজ হারিয়ে ফেললেন ঋষভ। দলের অধিনায়ক বলে কথা! কিন্তু একটা ভুল রান নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিপদ ডেকে আনল।
দুটো অসাধারণ চরিত্র। দুজন অসাধারণ ব্যাটসম্যান। দুজন অসাধারণ লড়াকু মেজাজের তরুণ। ঋষভ পন্থ দিল্লির ঠান্ডার মোকাবিলা করতেন গুরুদ্বারে রাত কাটিয়ে। উত্তরাখণ্ডে নিজের জায়গা রুরকি থেকে দিল্লি পৌঁছতে লেগে যেত ৬ ঘণ্টা। কিন্তু লড়াই ছাড়েনি সেদিনকার বাচ্চা ছেলেটা। আর তিরুবন্তপুরম শহরের ভিজিনজ্যাম অঞ্চল থেকে সঞ্জু স্যামসনের উঠে আসার গল্পটাও কম রোমহর্ষক নয়।আজ কে কাকে টেক্কা দেন সেটাই দেখার।
