গত ছয় মরশুমে গতবার প্রথম নারিনের বোলিং হতাশাজনক ছিল। ২০১২ আইপিএলে ২৪, ২০১৩-তে ২২, ২০১৪-তে ২১ উইকেট পাওয়া নারিন ২০২০ আইপিএলে পেয়েছিলন মাত্র পাঁচটি উইকেট। ২০১৫-র পর প্রথমবার নারিনের শিকার করা উইকেটের সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছয়নি। গত দুইই মরশুমে নারিন একটি ম্যাচেও তিন উইকেট পাননি। যেখানে এখনও পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান স্পিনার ছটি ম্যাচ চার উইকেট পেয়েছিলেন। গত তিন মরশুমে নারিনের ইকোনমি রেট বেড়েছে। তবে ব্যাটিংয়ে নাইটদের ভরসা জুগিয়েছেন তিনি। কেকেআর অধিনায়ক মরগ্যান বলছিলেন, গত দুই মরশুমে নারিনকে দলে যেমন খুশি ব্যবহার করেছে। কখনও বোলিংয়ে, কখনও পিঞ্চ হিটার হিসেবে ব্যাটিং-এ। ও পরিস্থিতির সঙ্গে দারুন মানিয়ে নিতে পারে।
advertisement
ছয় মরশুম ধরে তৃতীয় ট্রফির খোঁজে রয়েছে কেকেআর। আর নাইটদের ট্রফি জয়ে যে নারিন, রাসেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন তা কে না জানে! এবার ব্যাট হাতে দুই তারকার পরিসংখ্যান দেখা যাক। গত দশ ম্যাচে নারিন ও রাসেল ফেস করেছেন যথাক্রমে ৮৫ ও ৮১টি ডেলিভারি। তবে দশ ম্যাচে একবারও নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিতে পারেননি। তবে গত ম্যাচ ধরে দেখা গিয়েছে, স্পিনের বিরুদ্ধে ভাল খেলছেন নারিন। ফলে তাঁকে এখন মিডল অর্ডারেও ব্যবহারের কথা ভাবছে নাইট ম্যানেজমেন্ট। আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামবে কেকেআর। প্রথম ম্যাচ। দলে এখন নারিনের বিকল্প আছে। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান। তবে রাসেলের মতো বিগ হিটারের বিকল্প এখনও নেই। তিনি ফর্মে থাকলে কী করতে পারেন, তা তো সবাই দেখেছেন!
