দ্বিতীয় রাস্তা কী? ক্রিস মরিস। দক্ষিণ আফ্রিকান দীর্ঘকায় এই পেসারকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে আর্চারের অনুপস্থিতিতে। মরিস জানিয়েছেন তিনি প্রস্তত নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে দলকে সাহায্য করতে। শেষবার আরসিবি জার্সি গায়ে খেলেছিলেন তিনি। যথেষ্ট ভাল পারফর্ম করা সত্ত্বেও বাদ পড়তে হয়েছে। অবশ্য গতবারের তুলনায় আরও বেশি টাকা পেয়েছেন তিনি।
advertisement
মরিস জানিয়েছেন," আমার কাছে এটা নতুন চ্যালেঞ্জ নয়। আজ পর্যন্ত আইপিএলে আমি যেসব দলের হয়ে খেলেছি, নতুন বলে বল করার পাশাপাশি, ডেথ ওভারেও বল করতে হয়েছে। আর্চার না থাকায় আমায় বোলিং আক্রমণ লিড করতে হবে। আমি জানি দল আমার থেকে কী প্রত্যাশা করে। ব্যাট হাতেও আমি নিজের অবদান রাখার চেষ্টা করি। আমি আশাবাদী সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব।" রাজস্থান বোলিং বিভাগে দুর্বল মানতে রাজি নন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।
স্পষ্ট বলছেন নাম দেখে নয়, ক্রিকেট খেলার ফলাফল নির্ভর করে মাঠের পারফরমেন্সের ওপর। ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস দলে রয়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে ব্যাট এবং বল হাতে যথেষ্ট পারফর্ম করেছিলেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। মরিস মনে করেন এত টাকায় তাঁকে কেনা হয়েছে যখন, তখন কিছুটা চাপ থাকাটা স্বাভাবিক।
কিন্তু দীর্ঘদিন আইপিএল খেলার সুবাদে তিনি জানেন এই চাপ কীভাবে সামলাতে হয়। সামনে থেকে পারফর্ম করে দলকে নেতৃত্ব দিতে চান। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, দলগত পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে জেতা লক্ষ্য তাঁদের। নিলামে দাম যতই উঠুক, দিনের শেষে মাঠে নেমে ভাল ক্রিকেট খেলে দলকে জেতাতে হয়। সেটা করতে পারলেই খুশি হবেন মরিস।