নিজের প্রাক্তন অনূর্ধ্ব ১৯ সতীর্থ শিবম মভির রক্তচাপ বাড়িয়ে দিলেন তিনি। প্রত্যেকটা শট অবশ্য ক্রিকেটীয় শট ছিল। রিকি পন্টিং স্বয়ং প্রশংসা করেছেন যে ছেলের, তাঁর মান নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে না। অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট দল থেকে ব্যর্থ হওয়ার পর বাদ পড়তে হয়। এটাই যেন মানসিকভাবে আরও শক্ত করে তুলেছিল ছোটখাটো চেহারার এই ছেলেকে। কামব্যাক মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বিজয় হাজারে ট্রফি। রেকর্ড রান করেন এই ঘরোয়া টুর্ণামেন্টে।
advertisement
আইপিএলে কয়েকটা ম্যাচে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। কিন্তু তাঁর প্রতিভা দেখে সবাই নিশ্চিত ছিল তিনি রানে ফিরবেন। মনে হচ্ছিল নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত মারতে গিয়ে প্যাট কামিন্স এর বলে ধরা পড়লেন রানার হাতে। ৪১ বলে ৮২ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ১১ বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। শতরান পাওয়া উচিত ছিল। ভাগ্য খারাপ পৃথ্বীর।
ম্যাচ শেষে দেখা গেল রিকি পন্টিং তাঁর পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন। এমনকি কেকেআর পেসার শিবম মভীর সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করতেও দেখা গেল পৃথ্বীকে। এইভাবে তিনি যদি খেলতে থাকেন তাহলে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া সময়ের অপেক্ষা। ম্যাচ শেষে শিখর ধাওয়ান মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করে গেলেন পৃথ্বীর। গব্বর মনে করেন পৃথ্বী যেদিন খেলবেন, সেদিন বাকিদের কিছু করার থাকবে না।
