মালদ্বীপে বসে একটি অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “হাতে এখনও ছয় মাস আছে। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কোথায় হবে সেটা এখন বলা বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। আইসিসি নিশ্চয়ই ভারত সরকার ও বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হল ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য যেটা ভাল সেটাই করা হোক। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এখানে প্রতিযোগিতা আয়োজন না করাই ভাল।”
advertisement
কোভিড বাড়লেও কয়েকদিন আগে পর্যন্ত আইপিএল নিজের গতিতে চলছিল। তবে জৈব বলয় ভেদ করে ভাইরাস ঢুকে যেতেই আইপিএল বন্ধ করতে বাধ্য হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই। এমন অবস্থার মধ্যে ক্রোড়পতি লিগ আয়োজিত হওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন। সেটাও জানাতে ভুললেন না কামিন্স।
টেস্ট ক্রিকেটের সেরা ফাস্ট বোলার বলেন, “করোনা কালে আইপিএল আয়োজিত হওয়া নিয়ে মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন মতামত পেয়েছি। এক শ্রেণির মানুষ যখন কোভিডের মধ্যে আইপিএল আয়োজন হওয়া নিয়ে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, তেমনই আবার অনেক মানুষের কাছে আইপিএল ছিল কয়েক ঘণ্টার বিনোদন।”
তিনি যাই বলুন, অধিকাংশ বিদেশি ক্রিকেটারদের এটাই এখন মনের কথা। ভারতকে মুখে যতই মিস করার কথা বলুন না কেন, আসলে ভারত থেকে বের হতে পেরে প্রাণে বেঁচেছেন তাঁরা। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা আরও এক মাস অপেক্ষা করতে চান। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার ব্যাপারে।