ভারতীয় অধিনায়ক হলে এতদিনে কোপ পড়ত। আজ চার নম্বরে সুনীল নারিনকে কোন যুক্তিতে ব্যাট করতে পাঠানো হল কেউ জানে না। যে আন্দ্রে রাসেল আগের ম্যাচে এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঝড় তুলেছিলেন, তাঁকে কেন নামানো হল সাত নম্বরে? একবার যখন রাসেল ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন কেন তাঁকে যত বেশি সম্ভব বল খেলতে দেওয়া হবে না? কেন ব্যাটিং পাওয়ার প্লে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলেন না দুই ওপেনার গিল এবং রানা? কেন অল্প রান বোর্ডে থাকলেও প্রথম থেকে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরতে ব্যর্থ কামিন্স, নারিনরা? একাধিক প্রশ্ন উঠছে দল ব্যর্থ হওয়ায়।
advertisement
একমাত্র বরুণ চক্রবর্তী ছাড়া কোনও বোলারকে দেখে মনে হয়নি কিছু করতে পারেন। বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ তৈরি করতে হয় কীভাবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের দেখে শেখা উচিত কেকেআর অধিনায়কের। প্রয়োজনে অতিরিক্ত স্লিপ দিয়ে বোলারদের কাজ সহজ করেছেন এঁরা। আর মর্গ্যান? যত কম বলা যায় তত ভাল। সবচেয়ে বড় কথা এই দলের সিইও যিনি, তিনি ক্রিকেটের কিছু না বুঝেও বছরের-পর-বছর থেকে যাচ্ছেন। কোনও জবাবদিহি করতে হয় না। সমর্থকদের প্রত্যাশা, ভালোবাসার মর্যাদার মূল্য এঁদের কাছে মূল্যহীন।
কলকাতার দল হয়ে যে দলের স্থানীয় ক্রিকেটার নেই, সেই দল নিয়ে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা ও দু'ভাগে বিভক্ত। অবশ্য সেটা অন্য প্রসঙ্গ। ভাল খেললে এবং সাফল্য পেলে সব জবাব দেওয়া হয়ে যায়। কিন্তু দল ব্যর্থ হলে প্রশ্ন তো উঠবেই। অনেকে তো এখন মনে করছেন ইয়ন মর্গ্যান অধিনায়ক হিসেবে দীনেশ কার্তিকের থেকে কী ভাল করছেন? কোটি কোটি টাকা দিয়ে ম্যাকালাম, ডেভিড হাসি, কাইল মিলসদের পুষে লাভ কী?
যে রাজস্থান দলটা দুদিন আগে বিরাট কোহলির আরসিবির কাছে উড়ে গিয়েছিল, সেই দলের কাছেও হার? সত্যিই লজ্জার। প্রতিদিন ম্যাচ হারের পর হাসি হাসি মুখে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে একই বুলি আওড়ানো ছাড়া কাজ নেই নাইট অধিনায়কের। রিজার্ভ বেঞ্চে গুরকীরত মান, পবন নেগীর মত ক্রিকেটারদের কেন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না কেউ জানে না। চলছে, চলুক এমন মনোভাব গোটা দলের। এই দল ব্যর্থ হবে না তো কী হবে? স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের লজ্জা বাড়িয়ে লিগ তালিকায় এখন লাস্ট বয়ের নাম কলকাতা নাইট রাইডার্স।