স্টেডিয়াম ফাঁকা হলেও অন্তত টিভির পর্দায় কয়েক কোটি চোখ থাকছে। তবে এবারের আইপিএল আরও এক দিক থেকে আলাদা। এবার বড় রান হচ্ছে কম। আইপিএল আর ব্যাটসম্যানদের টুর্নামেন্ট নেই। এখন বোলারদের দাপাদাপি রয়েছে সমান তালে। চিপকের উইকেট আর চেন্নাইয়ের শিশির, এই দুই সমস্যায় আপাতত জেরবার প্রায় সব দল। এদিন চেন্নাইয়ের উইকেটে প্রথমবার খেলতে নেমেছিল দিল্লি। মুম্বই অবশ্য এই উইকেটে তিনটি ম্যাচ ইতিমধ্যে খেলে ফেলেছে। ফলে এই উইকেট যে স্লো এবং অপ্রত্যাশিত আচরণ করতে পারে, তার একটা আন্দাজ মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের ছিল। তবুও টসে জিতে আহামরি কিছু ফায়দা তুলতে পারলেন না রোহিত শর্মার দলের ব্যাটসম্যানরা। তাঁর দল প্রথমে ব্যাট করে তুলল মাত্র ১৩৭ রান।
advertisement
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে এই উইকেটে ১৩৭ রান তড়া করাটা বেশ কঠিন বলে মনে হতে পারে। তবে দিল্লির ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মতো স্ট্র্যাটেজি সাজালেন। যেহেতু লক্ষ্যমাত্রা বড় নয়, তাই সিঙ্গলস নিয়েই ইনিংস সচল রাখলেন শিখর ধাওয়ান স্টিভ স্মিথরা। শেষ পর্যন্ত সেই স্ট্র্র্যটেজি খেটে গেল।
মুম্বই ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করে ছেড়েছিলেন দিল্লি স্পিনার অমিত মিশ্রা। ৪ উইকেট নেন তিনি। মুম্বইয়ের হয়ে রোহিত শর্মা করেন সর্বোচ্চ ৪৪ রান। দিল্লির পৃথ্বী শ এদিন রান পেলেন না। তবে শিখর ও স্টিভ স্মিথ মিলে ইনিংস অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেলেন। ওভার প্রতি রানরেট বজায় রাখলেন তাঁরা। ধীমে তালে খেলেও ম্যাচ জেতা যায়, তাও আবার টি-টোয়েন্টিতে, সেটাই দেখিয়ে দিলেন দিল্লির ব্যাটসম্যানরা।
