নিজের যুক্তির স্বপক্ষে আকাশ বলেন," সত্যি বলতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শক্তির বিচারে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের থেকে অনেকটা এগিয়ে। দলটার ভারতীয় ক্রিকেটারদের দিকে তাকান। রোহিত শর্মা, ঈশান কিষান, সূর্য কুমার যাদব, হার্দিক এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া, রাহুল চাহ্যার। আর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। বিদেশি ক্রিকেটারদের ভেতর পোলার্ড, ট্রেন্ট বোল্ট, মিলনে, নিশাম- কে নেই? মুম্বাইয়ের রিজার্ভ বেঞ্চের যা শক্তি, অনেক দলের প্রথম টিমের থেকে তা বেশি" । ভুল বলেননি আকাশ। এমন দল চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলে সেটাই হবে অঘটন।
advertisement
মাহেলা জয়বর্ধনে এবং জহির খানের মত প্রাক্তন ক্রিকেটাররা দলের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু মুম্বাই যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে সেটা বাকিদের থেকে আলাদা। অধিনায়ক রোহিত শর্মার মত ম্যাচ রিডিং ক্ষমতা বিরাট কোহলিরও নেই। ফিল্ডিং সাজানো থেকে বোলার পরিবর্তন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা রোহিতকে অধিনায়ক হিসেবে অনেক পোক্ত করেছে। এবারও মুম্বাই দলের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একাধিক পজিশনে যোগ্য ক্রিকেটার থাকায় প্রয়োজনে অধিনায়ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারেন।
আর ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা নিজে মরিয়া থাকবেন টুর্ণামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করতে। নেট প্র্যাকটিসে সেরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন হিটম্যান। মুখে না বললেও বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর যে একটা ঠান্ডা লড়াই আছে সেটা দেখলেই বোঝা যায়। প্রথম ম্যাচেই বিরাটের আরসিবি - র মুখোমুখি মুম্বাই। বিরাট নাম রোহিত লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে সেটাই দেখার। ক্রিকেটে ট্রফি জেতার ব্যাপারে পরিশ্রমের পাশাপাশি ভাগ্যের দরকার হয়। মুম্বাইয়ের সেই ভাগ্য সহায় থাকলে, এবারও তাঁদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তা খুব একটা কঠিন হবে মনে হয় না। তবে দলের ড্রেসিংরুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিক শব্দটা ঢুকতে দিতে রাজি নন টিম ম্যানেজমেন্ট কর্তারা। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যেন দলকে গ্রাস না করতে পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি সকলের।
