সূর্য দীর্ঘদিন পর প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন তিনি। আর্চারকে প্রথম বলেই যেভাবে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন, সেটা ভোলা সম্ভব নয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। সূর্য তিন নম্বর পজিশনে আগামীদিনে ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে উঠতে চলেছেন সন্দেহ নেই। টেকনিক এবং বড় শট দুটো ব্যাপারেই প্রায় নিখুঁত তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের হয়ে অতীতে দুর্দান্ত কিছু ইনিংস খেলেছিলেন। তাই এবারও সূর্য মুম্বাই ব্যাটিং ইউনিটের অন্যতম ভরসা সন্দেহ নেই।
advertisement
টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে টি টোয়েন্টি সিরিজে নজর কেড়েছিলেন ঈশান কিষান। ঝাড়খণ্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ভারতের ভবিষ্যৎ তারকা, ইঙ্গিত দিয়েছেন। গতবার আরবে দুর্দান্ত ব্যাট করেছিলেন তিনি। মুম্বাই দলের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলেন। উচ্চতা কম হলেও, বিশাল ছক্কা হাঁকাতে পারেন অনায়াসে। পাশাপাশি উইকেট রক্ষা করতেও পারেন। আগেরবার তাঁকে উইকেটরক্ষক - ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলায়নি মুম্বাই। এবার কী ভূমিকায় তাঁকে ব্যবহার করা হবে সেটাই দেখার। রোহিত শর্মার সঙ্গে গতবার ওপেন করেছিলেন ঈশান। ছেলেটার সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট বিশ্বের তারকা ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে ভয়ডরহীন ব্যাট করার ক্ষমতা।
যুবরাজ সিং স্বয়ং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা করেছিলেন ঈশানের। মুম্বাই শিবির ভাল করে জানে ঈশান এবং সূর্য যদি ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন তাহলে পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়ার মত পাওয়ার হিটাররা পরের দিকে বড় রান তুলতে পারবে। তাই মুম্বাই ব্যাটিং লাইন আপে এই দুজন খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে জয়বর্ধনে জানিয়েছেন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিক নিয়ে তিনি ভাবছেন না। ড্রেসিংরুমে এই আলোচনা হচ্ছে না। একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান।
তবে সূর্য এবং ঈশানের ব্যাটিং মুম্বাইয়ের জমি শক্ত করবে তাতে সন্দেহ নেই। দুই ব্যাটসম্যান নিজেদের মধ্যেও কথা বলছেন, হাসি ঠাট্টা করছেন। সব মিলিয়ে 'ফিল গুড ফ্যাক্টর ' মুম্বাই শিবিরে। জয়বর্ধনে নিশ্চিত দুজনেই ভারতীয় দলের হয়ে খেলার পর আরও তীক্ষ্ণ হয়েছেন। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় নীল জার্সিধারীরা।
