প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তাঁর সাত নম্বরে ব্যাট করতেন নামার সমালোচনা করলেও তিনি নিজের কথাতেই চলেন। এদিনও তাই করলেন। দুটো বাউন্ডারি মেরে অবশ্য আশা জাগিয়েছিলেন। ধোনি ভক্তরা ভাবতে শুরু করেছিল এদিন শেষ চার ওভারে বোধহয় সেই পুরনো ধোনি ঝড় দেখা যাবে। কিন্তু আশা জাগিয়েও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ কিংবদন্তি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী নিজের সেরা সময় পেছন ফেলে এসেছেন? কিছুটা জোর করেই খেলছেন? কিছুতেই টাইমিং করতে পারছেন না।
advertisement
আসলে এটা কোনও অবাক হওয়ার মত ব্যাপার নয়। ক্রিকেট রিফ্লেক্স নির্ভর খেলা। একটা সময়ের পর স্বনামধন্য তারকাদেরও রিফ্লেক্স কমে আসে। মহেন্দ্র সিং ধোনি এখন এই পর্যায়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি চান একটা ভবিষ্যতের দল তৈরি করে যেতে। সে কারণেই এই বছর অবসর না নিয়ে খেলে দিলেন। কিন্তু ক্রিকেটীয় যুক্তির বিচারে চেন্নাই সুপার কিংস দলটাকে ভাল কিছু করতে হলে ব্যাটসম্যান ধোনিকে রান করতে হবে। সেটাই হচ্ছে না।
মাথা আগের মতই চলছে, কিন্তু শরীর চলছে না। মানিয়ে নিতে অনেকটা সময় নিচ্ছেন। দলের স্বাভাবিক খেলা এবং রান তোলার গতি ধাক্কা খাচ্ছে। কিন্তু ক্রিকেটারটির নাম যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি, তখন তাঁর সমাপ্তি ঘোষণা করা এত সহজ নয়। অতীতে বহু হারা ম্যাচ একক কৃতিত্বে দলকে জিতিয়েছেন। তিনি দলে থাকা আর না থাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য। মানসিকভাবে চেন্নাই দল শক্তিশালী জায়গায় থাকে তিনি থাকলে।
এটাই হয়তো শেষ বছর তাঁর। সুরেশ রায়না পরের বছর থাকবেন কিনা বলা মুশকিল। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে অধিনায়কের দায়িত্ব উঠলেও উঠতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর আইপিএলের গ্রহ থেকে মাহির বিদায় একটা যুগের অবসান হবে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী চলে না। পরের ম্যাচ থেকেই তিনি রানে ফিরবেন না, এমন গ্যারেন্টি কোথায়? তবে ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা ওপরে নিয়ে আসতেই পারেন নিজেকে।মুখে বলছেন পারফরমেন্সের গ্যারেন্টি হয় না। কিন্তু যতদিন খেলবেন ততদিন যেন কেউ না বলতে পারে তিনি আনফিট।
