ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে সচেতনতার সেই অভাবও জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে করোনা ঢুকে পড়ার বড় কারণ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, আইপিএলের আগে অনেক ক্রিকেটারই ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করেছিলেন। সূত্রের মতে, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর তরফে যখন বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন নিতে বলা হয়েছিল তখন ক্রিকেটাররা একেবারেই আগ্রহী ছিলেন না। সচেতনতার অভাব থেকেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’ যার পরিণতি এখন স্পষ্ট।
advertisement
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহার করোনা পরীক্ষার ফল আবার পজিটিভ এসেছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণেরও এসেছে পজিটিভ। তিনি এখন বেঙ্গালুরুর বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এই দু’জনেই রয়েছেন ভারতের ইংল্যান্ড সফরের দলে। ২৫ মে মুম্বইয়ে শিবিরের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু, তার আগে করোনামুক্ত হয়ে উঠতে হবে। ইংল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে তিনবার করোনা পরীক্ষা হবে প্রত্যেকের। তাতে উত্তীর্ণ হলেই উড়ান ধরতে পারবেন ঋদ্ধি-কৃষ্ণ।
এদিকে জানা গিয়েছে, একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ভ্যাকসিন নিতে রাজি করিয়েছিল ক্রিকেটারদের। কিন্তু, অনেকেই তা পারেনি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর জ্বর আসতে পারে বলে উদ্বিগ্ন ছিলেন অধিকাংশ ক্রিকেটার। সেই কারণেই ভ্যাকসিন না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন তাঁরা। তাছাড়া, জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকায় নিজেদের সুরক্ষিত বলেও মনে করছিলেন অনেকে। এই ধারণা ভাঙার জন্য খুব বেশি প্রচেষ্টাও ছিল না ফ্র্যাঞ্চাইজির দিক থেকে। ফলে, আচমকাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়।
তুলনায় বিদেশিরা চেয়েছিলেন ভ্যাকসিন নিতে। বিশেষ করে সাপোর্ট স্টাফরা আগ্রহী ছিলেন বেশি। কিন্তু, তা আইনসম্মত না হওয়ায় বিদেশিদের ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। আবার, নয়াদিল্লিতে খেলতে আসার কারণেও জৈব বলয়ে করোনার হানা ঘটেছে বলে অনেকের ধারণা। রাজধানীতে যখন করোনার প্রকোপ শিখরচুম্বী, তখনই সেখানে আসতে হয়েছিল ক্রিকেটারদের। চার্টার্ড ফ্লাইটে এলেও বিমানবন্দরের টার্মিনাল ব্যবহার করতে হয়েছিল দলগুলিকে। সেখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের থেকেও করোনা সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।