ফাফ ডুপ্লেসি এদিন যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। করলেন ৯৫ রান। তাও মাত্র ৬০ বল খেলে। কেকেআরের বিরুদ্ধে তিনি একাই যেন একশো হয়ে উঠেছিলেন। তবে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের কথাও বলতে হবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করলেন এই তরুণ তুর্কি। ৪২ বলে করলেন ৬৪। তিনি ও ফাফ মিলে চেন্নাইয়ের ইনিংসের শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই করে ২২০ রান। চেন্নাইয়ের উইকেট হলে হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে এত রান তাড়া করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াত। তবে এটা ওয়াংখেড়ে। এখানে চেন্নাইয়ের উইকেটের মতো ভেলকি নেই। ফলে এই উইকেটে কেকেআর অপ্রত্যাশিত কিছু করতে পারে বলেই হয়তো আশা করেছিলেন সর্মথকরা। কিন্তু সেরকম কিছুই হল না।
advertisement
p style="text-align: justify;">প্রথম থেকেই নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে কেকেআরের।
শুভমান গিল এদিন খাতা খুলতে পারেননি। নীতিশ রানা ফ্লপ। অধিনায়ক মরগ্যান একটানা ব্যর্থ। ইতিমধ্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, দীনেশ কার্তিক কি মরগানের থেকে খারাপ অধিনায়ক ছিলেন! বহু প্রাক্তন তারকাও এরই মধ্যে মরগ্যানের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এদিন দীনেশ কার্তিক দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৪০ রান করে ফিরলেন তিনি। আন্দ্রে রাসেল ঝড় তুলেছিলেন। তবে ২২ বলে ৫৪ করে আউট হলেন। স্যাম কুরআনের একটি দুর্দান্ত ডেলিভারি বুঝতে পারেননি রাসেল। লেগ স্টাম্প উড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হারা ম্যাচ কেকেআরকে জেতানোর জন্য লড়াই করলেন প্যাট কামিন্স। ৩৪ বল ৬৬ রান করে নট আউট থাকলেন তিনি। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বোলার কামিন্স আচমকা ব্যাটসম্যান হয়ে উঠলেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত। চেন্নাই ম্যাচ জিতল ১৮ রানে।
