ইয়ন মর্গ্যান নিজে ছাড়াও রয়েছেন কার্তিক, শাকিব, রাসেলদের মত তারকা। কিন্তু ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি এখনও। দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন। রাসেল বল হাতে সফল হলেও দলে তাঁর আসল গুরুত্ব ব্যাটসম্যান হিসেবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ তিনি। স্পিন বা পেস, কোনওটাই খেলতে পারছেন না। পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট হাতে মর্গ্যান নিজেও রান পাননি। মাঝের তিন দিন প্র্যাকটিসে নিজেদের ভুলভ্রান্তি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা চলেছে। বিরাট কোহলির আরসিবির বিরুদ্ধে রবিবার খেলতে হবে নাইট রাইডার্সকে। যাঁরা দুটো ম্যাচ খেলে দুটোতেই জিতে আছে। মুম্বই এবং সানরাইজার্সকে হারিয়েছে আরসিবি।
advertisement
অধিনায়ক বিরাট দুটো ম্যাচেই ভাল শুরু করেও বড় রান করতে পারেননি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল অর্ধশতরান পূর্ণ করেছেন। হর্ষল প্যাটেল নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন আরসিবি দলে এসে। শেষ ম্যাচে বাংলার শাহবাজ আহমেদ তিন উইকেট তুলে নিয়ে চমকে দিয়েছেন। নতুন বছরে ড্যান ক্রিশ্চিয়ান এবং জেমিসন যোগ দেওয়ায় শক্তি বেড়েছে লাল জার্সিধারীদের। এমন দলের বিরুদ্ধে নাইট রাইডার্সকে জিততে গেলে ঘাম ঝরাতে হবে সন্দেহ নেই।
দুটো ম্যাচে কলকাতার দলের প্রাপ্তি বলতে নীতিশ রানার দুর্দান্ত ব্যাটিং। গিল শুরু করেও লম্বা খেলতে পারছেন না। শোনা যাচ্ছে চিপকে ঘূর্ণি উইকেট থাকায় এই ম্যাচে দলে একটা পরিবর্তন করতে পারে কেকেআর। হরভজনকে বাইরে করে আনা হতে পারে পবন নেগিকে। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে চেন্নাইয়ের উইকেটে সফল হওয়া যায় প্রমাণ করেছেন শাহবাজ। তাছাড়া আরসিবি দলে তুলনামূলকভাবে ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেশি। পবনকে খেলালে তাঁর বল পড়ে বাইরে যাবে। সেটা মুশকিল হতে পারে ব্যাটসম্যানদের জন্য। তাছাড়া গত বছর পর্যন্ত আরসিবি দলে ছিলেন তিনি। বিরাট থেকে শুরু করে ডি ভিলিয়ার্সদের বিরুদ্ধে নেটে বল করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই সুযোগটা নিতে চায় কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট।
এছাড়া খুব বেশি পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। চেন্নাইয়ে দেখা যাচ্ছে প্রথম ব্যাট করে ১৫০ তুললেই দ্বিতীয় ইনিংসে চাপে পড়ে যাচ্ছে রান তাড়া করতে নামা দল। তাই টস জিতলে ব্যাটিং করার পক্ষে হাঁটতে পারে দুবারের চ্যাম্পিয়ন দল। এছাড়া প্যাট কামিন্স, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের মত জোরে বোলাররা বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা দেখে প্ল্যান তৈরি করছেন। মাঠে নেমে কতটা সফল হবেন উত্তর দেবে সময়। গতবার আরবে কেকেআরকে বল হাতে ভুগিয়েছেন সিরাজ। এবার জবাব দেওয়ার ম্যাচে ইয়ন মর্গ্যান এবং তাঁর দল বাজিমাত করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
