শুভমান গিলের সঙ্গে রাহুল ত্রিপাঠী না হয় সেই নারিনকেই হয়তো ওপেন করতে দেখা যাবে। করুণ নায়ার দলে আসায় এই দায়িত্বটা তাঁর ওপরেও পড়তে পারে। কর্নাটকের এই ব্যাটসম্যান পাঁচ বছর আগে বীরেন্দ্র সেওয়াগের পর একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ত্রিশতরান করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর জাতীয় দলে খেলা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য কর্নাটকের হয়ে পারফর্ম করে গিয়েছেন। অতীতে দিল্লি, পঞ্জাবের মত দলের জার্সি গায়ে আইপিএল খেলেছেন। করুণ দাঁড়িয়ে গেলে কলকাতার অনেকটা সমস্যা মিটে যাবে।
advertisement
বেন কাটিং অতীতে হায়দরাবাদে এবং মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছেন। বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্ট খেলার পাশাপাশি পাকিস্তান প্রিমিয়র লিগেও চুটিয়ে খেলেছেন। ব্যাট এবং বল হাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। পবন নেগি বাঁহাতি স্পিনার। প্রয়োজনে ব্যাট হাতে মারতে পারেন। তবে সবচেয়ে বড় চমক হরভজন সিং। ভাজ্জিকে দলে নিয়ে চমক দিয়েছে কেকেআর। গতবার আমিরাতে খেলেননি হরভজন। কিন্তু এবার কলকাতা প্রথম থেকেই টার্গেট করেছিল তাঁকে দলে নিতে। হরভজনের অভিজ্ঞতা যে কোনও দলের সম্পদ।
বরুণ চক্রবর্তী, নারিনের সঙ্গে হরভজন, স্পিন বিভাগে আরও শক্তি অর্জন করল কেকেআর। এর সঙ্গে নেগি এবং সাকিবের বাঁহাতি স্পিন দলের শক্তি বাড়িয়েছে। এছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ভেঙ্কটেশ আই আর এবং বৈভব অরোরাকে দলে নিয়েছে কেকেআর। সব মিলিয়ে ভারসাম্য খারাপ নয়। মাঠে নেমে পারফর্ম করতে পারলে অনেক হিসেব বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে শাহরুখ খানের দল।