কিন্তু ভাবা আর করার ভেতর বিস্তর ফারাক। ব্যর্থতার বিভিন্ন কাটাছেঁড়া হয়েছে এতদিন। বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ যেটা সামনে এসেছে, তা হল ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাল শুরু করতে না পারা। শুভমান গিল এবং নীতিশ রানা ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ। রানা তবু প্রথম দুটি ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের আগামীদিনের সুপারস্টার ধরা হচ্ছে যাঁকে, সেই গিল একটা অর্ধশতরান করতে পারেননি। অথচ টি টোয়েন্টিতে ভাল পারফর্ম করতে গেলে পাওয়ার প্লেতে ওপেনিং পার্টনারশিপ শক্তিশালী হতে হয়।
advertisement
গিল কয়েকটা বাউন্ডারি মেরে খারাপ শট খেলে উইকেট দিয়ে আসছেন। রানা হঠাৎ করেই যেন বুঝতে পারছেন না কী করবেন। ফলে মিডল অর্ডারের ওপর প্রথম থেকেই চাপ পড়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন পাওয়ার প্লের সুবিধা নিতে প্রথম থেকেই সুনীল নারিনকে নামিয়ে দেওয়া হোক। এমনিতেও তাঁর থেকে বড় রান কেউ আশা করেন না। তাই প্রথমে নেমে যদি কিছু বড় শট খেলে দলের রান বাড়িয়ে যেতে পারেন সেটা দলের মঙ্গল। তাই আজ ওপেনিং পার্টনারশিপে নারিনকে নামানো হয় কিনা সেটা দেখার। তবে সেই সম্ভাবনা কম।
গিল এবং রানার ওপর এখনই বিশ্বাস হারাতে রাজি নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাছাড়া ডানহাতি এবং বাঁহাতি পার্টনারশিপ চট করে ভাঙতে চান না ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কিন্তু ব্যাটিং পাওয়ার প্লের ভেতর উইকেট পড়ে গেলে নারিন তিন নম্বরে নামলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নেটে গিল এবং রানা ব্যাট করার সময় দীর্ঘক্ষন কথা বলতে দেখা গিয়েছে ম্যাকালাম এবং অভিষেক নায়ারকে।
টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে ওপেনিং পার্টনারশিপ যদি জোরদার হয়, তাহলে বড় রান তোলা সহজ হয়ে যাবে ইয়ন মর্গ্যান, রাসেল, কার্তিকদের জন্য। প্রয়োজনে গিল এবং রানাকে ব্যাটিং টেকনিক কিছুটা পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রেন্ডন। আসল জায়গায় দুই ওপেনার সফল হন কিনা তা জানা যাবে আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষায়।