গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ডি ভিলিয়ার্স যে ধ্বংসলীলা চালিয়ে গিয়েছিলেন কেকেআর জার্সিতে তার পাল্টা জবাব দেওয়ার মত কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না। শুরুতে শুভমন গিল কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেননি। ২১ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল লড়াই। নীতিশ রানা প্রথম দুটো ম্যাচে অর্ধশতরান পেলেও আসল পরীক্ষায় ব্যর্থ। ১৮ করে ফিরে গেলেন। রাহুল ত্রিপাঠী ২৫ এবং অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান ২৯ পাল্টা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। কেকেআরের হেরে যাওয়া ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
advertisement
শাকিব কিছুটা লড়াই করলেন। কিন্তু আরসিবি র পাহাড় সমান রানের লক্ষ্যমাত্রা পার করতে পারলেন না। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ম্যাচের পর এবার আরসিবি- র বিরুদ্ধেও হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল শাহরুখ খানের দলকে। রাসেল নিজের সেরা সময় পেছন ফেলে এসেছেন। একটা বল ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেলতে পারছিলেন না। ১৭ ওভারে অবশ্য
চা হালের ওভারে ২০ রান তুললেন। কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছিল দল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ৩৮ রানে হেরে মাঠ ছাড়তে হল।তাঁকে এত টাকা দিয়ে দলে নেওয়ার কারণে কম সমালোচনা হয়নি। গতবার পঞ্জাব জার্সিতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন আইপিএলে।
কিন্তু এবার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ দিয়ে দলে নিয়েছিল আরসিবি। গত ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন। আজ মাত্র ৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে যখন চাপে পড়েছে দল তখন ভরসা দিলেন। পাল্টা আক্রমণ করলেন কেকেআর বোলারদের। লাল জার্সিধারীদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এবার তিনি বুঝিয়ে দিতে মরিয়া তাঁকে দলে নিয়ে ভুল কাজ করেনি আরসিবি। যে চাপ তৈরি হয়েছিল কাটিয়ে দিলেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে।
এভাবে চলতে থাকলে বিরাটের মাথা ব্যাথা অনেক কমে যাবে। অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন।সঙ্গে এবি ডি ভিলিয়ার্স। বয়স বেড়েছে, কিন্তু ক্ষিপ্রতা কমেনি। আসলে মানতে অসুবিধা নেই আরসিবি বা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের তুলনায় কেকেআর দলের ক্রিকেটারদের মান অনেক কম। মাঠে সেটা লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। তাই খুব অলৌকিক কিছু না ঘটলে এবারও হতাশায় বুক বাঁধবেন নাইট সর্মথকরা।